সম্প্রতি নিউজউইককে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন।
ইমরান খান জানান, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির যেদিন রাশিয়া ইউক্রেইনে সামরিক অভিযান শুরু করে সেদিনই তিনি মস্কো সফরে যান। ইউক্রেইনে যেসব যুক্তিতে রাশিয়া অভিযান শুরু করে তার সঙ্গে একমত না হলেও তিনি ওই পদক্ষেপের নিন্দা জানাননি। একই সঙ্গে মস্কোর সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের ঝুঁকি নেননি।
ইমরান খান বলেন, ‘অ্যামেরিকা চেয়েছিল তখন আমরা জাতিসংঘের মাধ্যমে রাশিয়ার নিন্দা করি। সেসময় আমাদের সরকার মস্কো থেকে কম দামে তেল ও গম আমদানির জন্য একটি চুক্তির ব্যবস্থা করেছিল। পাকিস্তান যদি তখন রাশিয়ার নিন্দা করত, তাহলে আমাদের জনগণের ওপর এর কী প্রভাব পড়তে পারত?’
২০২২ সালের মার্চের শুরুতে পাকিস্তানি ও অ্যামেরিকান কূটনীতিকদের মধ্যে একটি বৈঠক হয় উল্লেখ করে ইমরান জানান, এর ফলে জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি অপসারিত না হলে পাকিস্তানকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ইমরান খান বলেন, ‘পরের দিন জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট ছিল এবং এর আগে অ্যামেরিকান দূতাবাস আমাদের আমাদের পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।’
অ্যামেরিকা কেন ‘একটি চুক্তির ব্যাপারে আপত্তি করবে’ তা নিয়ে তিনি ‘বিভ্রান্ত’ ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন ইমরান।
এর আগেও ইমরান খান এ ধরনের অভিযোগ তুলেছেন, তবে অ্যামেরিকা বরাবর তা নাকচ করে বলেছে এই অভিযোগের ‘কোনো সত্যতা নেই’।
ইমরান খানকে দুর্নীতি থেকে রাষ্ট্রদ্রোহ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি গত এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে হারার পর ক্ষমতা থেকে অপসারিত হন। ইমরান অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইমরান খান ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দেশটি ২৩১ মিলিয়ন মানুষের খাদ্যের ক্রমবর্ধমান দাম, অর্থনৈতিক সংকট ও চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। অর্থনৈতিক বেলআউট নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনাও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে।