এর আগে দেশটির কয়েকটি প্রধান শহর দখলে নেয় বাহিনীটি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভাগনারকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে অভিহিত করার পর তাকে উপহাস করেন প্রিগোযিন।
ভাগনারের টেলিগ্রাম চ্যানেলে শনিবার পোস্ট করা এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘পুতিন ভুল করেছেন। তিনি নিজের জন্যই বিপদ ডেকে এনেছেন। খুব শিগগিরই আমরা নতুন প্রেসিডেন্ট পাব।’
এদিকে পুতিন শনিবার রাশিয়ান জনগণকে সম্বোধন করে এক বার্তায় বলেন, ভাগনার বাহিনীর নেতা ‘তার পিঠে ছুরি মেরেছেন’।
মস্কোকে মিলিশিয়া বাহিনী থেকে বাঁচাতে লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে পুতিন জানিয়েছেন, দেশটির সামরিক বাহিনী যেকোনো মূল্যে শহরটি রক্ষায় প্রস্তুত।
প্রিগোযিন ও তার নেতৃত্বে থাকা শক্তিশালী ভাগনার বাহিনীর ২৫ হাজার মিলিশিয়া সেনা, রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্টভ- অন-ডনের দখল নিয়েছে। তাদের দাবি, ‘জীবনের বিনিময়ে’ হলেও তারা পুতিনের সামরিক বাহিনীর উপর প্রতিশোধ নেবে।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় ভাগনার বাহিনীর কয়েক মিলিশিয়া নিহতের প্রতিবাদ হিসেবে প্রিগোযিন এমন ঘোষণা দেন।
তবে মস্কোর উদ্দেশে যাত্রা করা ইউনিটটি প্রায় অর্ধেক পথ অতিক্রম করে ভরোনেয শহর পার হয়ে লিপেটস্কে পৌঁছানোর পর পিছিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
ভাগনার জানিয়েছে, যাত্রাপথে তারা তেমন কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। তবে ওই সময়ে তারা শহরটির একটি বিশাল অয়েল ডিপোতে আগুন জ্বলতে দেখেছে। একই সময়ে ডিপোর আকাশে একটি হেলিকপ্টারও উড়তে দেখা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সমরাস্ত্রের বিশাল কনভয় ভরোনেয থেকে আরও উত্তর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই কনভয় ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনী ভাগনারের।
মস্কোতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করে যেকোনো অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী।
প্রেসিডেন্ট পুতিন ভাগনার মিলিশিয়া বাহিনীকে প্রতিহত করতে মস্কোর চারপাশের সামরিক সদস্যদের একত্রিত অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।