বিক্ষোভের তৃতীয় দিন শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তারা পুলিশকে লক্ষ করে বোমা ছুড়ে মারে। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।
সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
প্যারিসের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ করে বিক্ষোভকারীরা বোমা ছুড়েছে। হামলা হয়েছে শহরের টুয়েলভ ডিস্ট্রিক্টের পুলিশ স্টেশনে। এছাড়া ল্যুভ মিউজিয়ামের কাছে রিভেলি রোডের দোকানপাট ও সেন্ট্রাল প্যারিসের বৃহত্তম শপিং মল ফোরাম দেস হ্যালেসে লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ শহরের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভকারীদের দলগুলোকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। প্যারিস ছাড়াও ফ্রান্সের আরও বিভিন্ন শহরে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
বিক্ষোভ দমনে প্রায় ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৬৬৭ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
প্যারিস পুলিশের সদর দফতর জানায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৩০৭ জন প্যারিস অঞ্চলের।
প্যারিসের ননতেখে মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী নাহেল এমকে নিহত হয় । এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নায়েল গাড়ি নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন। আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি করে।
তবে ঘটনার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ভিন্ন তথ্য প্রকাশ হয়। ফুটেজে দেখা গেছে, হলুদ রংয়ের গাড়ি থামিয়ে দুজন অফিসার ভেতরে থাকা চালকের সঙ্গে কথা বলছেন। এর মধ্যে একজন চালকের দিকে বন্দুক তাক করে আছেন। এক পর্যায়ে গাড়িটি চলতে শুরু করামাত্র পুলিশ অফিসার গুলি করেন।
এরপরেই প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরে শুরু হয় বিক্ষোভ।