এআই-এর কারণে জনবল কমাচ্ছে বিল্ড
টিবিএন ডেস্ক
জুন ২১ ২০২৩, ১৭:০৭
- 0
ইউরোপের সবচেয়ে বড় প্রকাশনা কোম্পানি অ্যাক্সে স্প্রিঙ্গার এসই-এর মালিকানাধীন জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ড ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ কমানোর পরিকল্পনা করেছে। প্রায় ২০০ খাতে ‘অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়া’ জনবল এর আওতায় ছাঁটাই করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের উদ্দেশে জানিয়েছে, সম্পাদনা কাজের একটি বড় অংশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের (এআই) মাধ্যমে করার সুযোগ তৈরি হওয়ায় সামনে আরও জনবল ছাঁটাই হতে পারে।
অ্যাক্সে স্প্রিঙ্গার এসই এক ইমেইলে বিল্ড কর্মীদের লিখেছে, ‘দুর্ভাগ্যবশত এখনকার ডিজিটাল বিশ্বে যেসব কাজ এআই অথবা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে করা সম্ভব সেসব কাজের সঙ্গে যুক্ত সহকর্মীদে আমরা হারাতে যাচ্ছি।’
অ্যাক্সে স্প্রিংগার এসই-এর প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রাঙ্কফুর্টার অ্যালজেমেইন সংবাদপত্রে (এফএজেড) ওই ইমেইলের তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে সম্পাদক, ছাপাখানার কর্মী, সহ সম্পাদক, প্রুফরিডার এবং ছবি এডিটরদের ভূমিকা এখনকার মতো থাকবে না।’
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে অ্যাক্সে স্প্রিংগার এসই-এর প্রধান নির্বাহী ম্যাথিয়াস ডফনার বলেছিলেন, ‘সংবাদপত্র প্রকাশনাকে সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাইজ মিডিয়া কোম্পানি হতে হবে। সেক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির মতো এআই টুল স্বাধীন সাংবাদিকতাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে অথবা প্রতিস্থাপন করতে পারে।’
তিনি বলেছিলেন, “এআইশিগগিরই মানুষের তুলনায় ‘তথ্য সংগ্রহে’ আরও দক্ষ হবে এবং শুধু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বা সরাসরি বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে অরিজিনাল কন্টেন্ট তৈরি করতে পারা জনবলই টিকে থাকবে।”
এআই-এর কারণে কত পরিমাণ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি বিল্ড।
স্প্রিঙ্গার ছাড়াও এই বছর বাজফিড মিডিয়া কোম্পানি এআই ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে। ইংল্যান্ডের পত্রিকা ডেইলি মিরর এবং ডেইলি এক্সপ্রেসও এআই এর সঠিক ব্যবহার খুঁজছে।
চ্যাটজিপিটির মতো এআই টুল কবিতা, কথাসাহিত্য, চাকরির আবেদন থেকে শুরু করে প্রবন্ধ পর্যন্ত লিখতে পারে। তবে এআই মাঝে মাঝে ভুল ও বানোয়াট তথ্যও দিয়ে থাকে।
এর আগে মেনস জার্নাল এবং স্নেট মিডিয়া ওয়েবসাইট এআই ব্যবহার করে নিবন্ধ তৈরি করেছে। পরে মানুষের সাহায্যে নির্ভুলতা পরীক্ষার সময় দেখা যায় অর্ধেক নিবন্ধই সংশোধন করতে হবে। এরপর জানুয়ারিতে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
জার্মান সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ডাই আক্টুয়েলের প্রকাশক গত এপ্রিল সম্পাদককে বরখাস্ত করে। তিনি ফর্মুলা ওয়ান কিংবদন্তী মাইকেল শুখামারের একটি সাক্ষাৎকার সম্পূর্ণরূপে এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি করেছিলেন। অথচ ২০১৩ সালের পর মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর থেকে সাত বারের ফর্মুলা ওয়ান বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। এ ঘটনায় মাইকেল শুমাখারের পরিবারের কাছে ক্ষমা চায় কর্তৃপক্ষ, যদিও তারা ম্যাগাজিনের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে।