অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে বসবাসরতদের দাবি, থাকার জায়গা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা এখানে বাস করছেন।
স্প্রুস স্ট্রিটের শেষপ্রান্তে প্রায় ২৫ একর জায়গাজুড়ে গৃহহীনদের বসবাস। এলাকাটি তাদের নির্ভয় বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা শায়না হিউয বলেন, ‘আমরা চাই না লোকজন অস্ত্র উঁচিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াক এবং মারামারি করুক। আর এ কারণে আমরা বাচ্চাদের ঘরের ভেতর আটকে রাখি।’
পুলিশ জানায়, চলতি সপ্তাহে ক্যাম্পে একটি হামলার পর তাদের ঘটনাস্থলে যেতে হয়েছে। গত সপ্তাহে সেখানে মাদকের অতিরিক্ত ডোয নিয়ে মারা যান একজন।
ল্যাকোনিয়া পুলিশ চিফ ম্যাট ক্যানফিল্ড বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে একটি যৌক্তিক পরিকল্পনার ব্যাপারে ভাবছি, যাতে লোকজনকে সেখান থেকে উচ্ছেদ না করে থাকার জায়গা খুঁজে বের করা যায়। আমার মনে হয় শিগগিরই আমরা একটি সমাধান বের করতে পারব।’
অন্যদিকে, ক্যাম্পে বসবাসকারীরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের দাবি, বনেজঙ্গলে এভাবে বসবাসের পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে।
ক্যাম্পের এক বাসিন্দা অ্যামি বিউডোইন বলেন, ‘আমরা একটি সম্প্রদায় হিসেবে জোটবদ্ধ না থাকলে কোথাও বসবাস করতে পারব না। আপনি গৃহহীন বলে আপনাকে এ জায়গা থেকে উচ্ছেদ করা হবে এটা কেমন কথা!’
স্থানীয়রা বলেছেন, কিছু লোকজন বছরের পর বছর ধরে বনেজঙ্গলে বসবাস করছেন, তবে গত কয়েক মাসে এ সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে।
এর জন্য কেউ কেউ ফেডারেল হাউযিংয়ের সহায়তা ফুরিয়ে যাওয়াকে দোষারোপ করছেন। অনেকে বলছেন, শীতকালে ম্যানচেস্টারে একটি গৃহহীন ক্যাম্প ভেঙে ফেলায় প্রচুর লোক এখানে এসে আশ্রয় নেন।
আর-ল্যাকোনিয়ার স্টেইট রেপ্রেজেন্টেটিভ স্টিভেন বোগার্ট বলেন, ‘ছিন্নমূলদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করলে সমস্যার সমাধান হবে না। তবে তাদের সেখানে রাখাটাও কোনো সমাধান নয়।’