রাজধানী ঢাকায় সচিবালয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন দেশটির একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের ওপর নতুন করে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে অ্যামেরিকা। এমন কোনো আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে পত্রিকা লিখেছে তাদের জিজ্ঞাসা করুন, আমার এ বিষয়ে কোনো কিছু জানা নেই। আরেকটি কথা হচ্ছে, অ্যামেরিকা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।’
তিনি আরও বলেন, "গত ৫১ বছর ধরে অ্যামেরিকা বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করে আসছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকেও প্রশিক্ষণসহ নানা সহায়তা দিয়ে আসছে এবং সেই সহায়তা অব্যাহত আছে। আমরা মনে করি, আমাদের যারা উন্নয়ন সহযোগী, তাদের সহযোগিতায় দেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের এক অত্যন্ত ‘প্রোফাউন্ড ডেভালপমেন্ট পার্টনার’।
“আর নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা-নিষেধাজ্ঞা এগুলো দিয়ে কোনো লাভ হয় না, সেটি ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে অনেকেই স্যাংশন দিয়ে রেখেছে। ইরানের সরকার তো পড়ে যায় নাই, বহাল তবিয়তে আছে। বহু বছরের স্যাংশনেও কিউবাকে টলানো যায় নাই, সরকারও পরিবর্তন হয় নাই। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে বহু স্যাংশন, সেখানকার সরকার তো পরিবর্তন হয় নাই। রাশিয়ার বিরুদ্ধে বহু স্যাংশন, সেগুলো অমান্য করেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং অনেকেই তাদের কাছ থেকে পণ্য আমদানি করছে। অর্থাৎ এগুলো দিয়ে আসলে লাভ হয় না।”