ইউনাইটেডকে হারিয়ে এফএ কাপের শিরোপা জিতল সিটি

টিবিএন ডেস্ক

জুন ৪ ২০২৩, ১৭:১৪

এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ছবি: এপি

এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ছবি: এপি

  • 0

ইকে গুনডোগানের জোড়া গোলে এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। একইসঙ্গে ঐতিহাসিক টেব্রল জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেছে সিটিজেনরা।

ওয়েম্বলিতে শনিবার ঘরোয়া ডাবল শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ইউনাইটেডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে একই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের হাতছানি এখন সিটির সামনে। আগামী ১০ জুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে হারাতে পারলে প্রথমবারের মতো শিরোপার পাশাপাশি ট্রেবল জয়ে কৃতিত্ব দেখাবে সিটি।

ফাইনাল শেষে গার্দিওলা বলেন, ‘আমরা এখন যে পজিশনে আছি সেটা হয়তো কখনো আর আসবে না। এফএ কাপ জয়ের অনুভূতি সত্যিই ভিন্ন। সমর্থকদের সঙ্গে এই জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করাও ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।’

মাত্র ১২ সেকেন্ডে গোল করে এফএ কাপের ফাইনালের ইতিহাসে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েছেন গুনডোগান। ৩৩ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসের পেনাল্টিতে ইউনাইটেড সমতায় ফিরে। জ্যাক গ্রীলিশের হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। কিন্তু সিটি অধিনায়ক ৫১ মিনিটে আবারো গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। মৌসুমের পরে সিটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এটাই ছিল গার্দিওলার দলের হয়ে গুনডোগানের ইংল্যান্ডের মাটিতে শেষ ম্যাচ। 

গুনডোগান বলেন, ‘সবাই জানে এফএ কাপ বিশ্বের ঘরোয়া ক্লাব প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সুন্দর একটি আসর। সে কারনেই আরও একবার এই শিরোপা জেতা ও ডাবল জয় করা আমাদের জন্য সত্যিই আনন্দের।  সামনে আমাদের আরও বিশেষ কিছু অর্জনের সুযোগ রয়েছে। ট্রেবল জয়ের মুহূর্তটা আমরা হাতছাড়া করতে চাইনা।’

ম্যানচেস্টার জায়ান্টদের মধ্যে প্রথমবারের মতো আয়োজিত বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালটাও ছিল দারুন উত্তেজনাকর। ম্যাচের অনেক আগে থেকে লন্ডনের মাঠটির ৮৩ হাজার আসন কানায় কানায় ভরে যায়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে ভিক্টর লিন্ডেলফের হেডে গুনডোগানের ভলিতে ইউনাইটেড হতবাক হয়ে যায়। এত দ্রুত পিছিয়ে পড়ায় ইউনাইটেড কিছুটা বিচলিত হলেও দ্রুতই তারা সবকিছু সামলে নেয়। অ্যারন ভ্যান-বিসিকার হেড সিটি বক্সের মধ্যে গেলে তা গ্রীলিশের হাতে লাগে। রেফারি পল টিয়ারনি ভিএআর রিভিউ দেখে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। সিটি গোলরক্ষক স্টিফান ওরটেগাকে উল্টো দিকে পাঠিয়ে পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড ফার্নান্দেজ ইউনাইটেড সমর্থকদের আনন্দে ভাসান।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও একবার ইউনাইটেডের শুরুটা ভাল হয়নি। তাদের ধীরগতির কৌশলের সুযোগে সিটি চড়াও হয়ে খেলতে থাকে। তার ফলও দ্রুত পেয়ে যায়। ডি ব্রুইনার ফ্রি-কিক থেকে সিটিকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন গুনডোগান। এই গোলের পর ৩২ বছর বয়সী স্প্যানিশ গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া-র ইউনাইটেডে ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। টেন হাগ অবশ্য বলেন, ‘দুটি গোলই কঠিন ছিল। আমরা মোটেই প্রতিরোধ করতে পারিনি। সিটির মতো একটি দলের বিপক্ষে আমরা যখন  মাঠে নামবো তখন যতটা সম্ভব প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। এই ধরনের গোল হজম করাটা হতাশার।’

এরপর অবশ্য ডি ব্রুইনা ও আর্লিং হালান্ডের দুটি প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে ডি গিয়া ইউনাইটেডকে রক্ষা করেছেন। অফসাইডের কারনে হ্যাটট্রিক পাওয়া হয়নি গুনডোগানের। অল্পের জন্য মার্কাস রাশফোর্ড ও আলেহান্দ্রো গারাঞ্চো গোল করতে ব্যর্থ হলে হতাশ হয় ইউনাটেড। সিটি বস হিসেবে এটি গার্দিওলার ১১তম বড় শিরোপা।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন