বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন

বাসস

এপ্রিল ২৪ ২০২৩, ১৮:৪৬

মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: পিআইডি

মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: পিআইডি

  • 0

মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সোমবার সকালে রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পরিবার এবং শতাধিক অতিথি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

শপথ পাঠের জন্য মুজিব কোট ও সাদা পাঞ্জাবি পরে নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সকাল ১০টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রবেশ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও স্পিকার। অনুষ্ঠান শেষে নয়া রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অফিসের দায়িত্ব পরিবর্তনের অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ নিজ আসন বদল করেন।

এরপর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শপথ নথিতে স্বাক্ষর করেন। 

৭৩ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। 

তার জন্ম ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায়। তার ডাক নাম চুপ্পু। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৭৪ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। 

পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার সক্রিয় অংশগ্রহণ। পাবনা জেলার আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে তিন বছর জেল খাটেন তিনি।

মো. সাহাবুদ্দিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতাও করেছেন। জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী ছিলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন পরপর দুইবার বিসিএস (বিচার) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

সাবেক এই ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন