মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনি অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় আমি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কাজটি ইতোমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে এনেছি।’
জাতীয় সংসদে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ এরইমধ্যে পাশ হয়েছে উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আশা করছি, ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকেই বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে।’
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত চাঁদা দেয়ার মাধ্যমে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এতে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকরাও অংশ নিতে পারবেন।’
মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় জানান, পেনশনে থাকাকালে ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে কেউ মারা গেলে পেনশনারের নমিনি পেনশনারের ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছরের চাঁদা দেয়ার আগেই মারা গেলে জমা অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে ফেরত দেয়া হবে। এছাড়া চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমা থাকা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ হিসেবে তোলা যাবে।
পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হবে এবং এর বিপরীতে কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে। মাসিক পেনশন বাবদ পাওয়া অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।
শিগগির একটি পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে জানিয়ে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে এ কর্তৃপক্ষকে কার্যকর করা হবে।