ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) বার্ষিক সভায় সোমবার মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ বলেন, ‘মহামারির বছরগুলো আমরা পেছনে ফেলে এসেছি এবং সীমান্তগুলো স্বাভাবিক হয়েছে।’
তবে এয়ারলাইন্সগুলোর লাভ ১.২ শতাংশের আশেপাশে ঘুরছে, যা দীর্ঘমেয়াদে শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য।
বিশ্বব্যাপী এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো সাম্প্রতিক মাসে একটি ব্যস্ত গ্রীষ্মের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও ভ্রমণের চাহিদা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এ বছর তেলের বাড়তি দামের চাপও কমেছে।
ওয়ালশ রয়টার্সকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অনেক মানুষের ভ্রমণের দরকার পড়ে না, কিন্তু তারা ভ্রমণ করতে চান। এ বছর তারাও ভ্রমণ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘দুর্বল সামষ্টিক অর্থনীতির মধ্যেও বেশি কর্মসংস্থান চাহিদাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। যাত্রীরা আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন যে, তরা নিজেদের উপভোগ করার জন্য কিছু ঋণ নিতে পারবেন।’
ওয়ালশ প্রায় ৩০০ এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, সাপ্লাই চেইনে সমস্যা এবং বিমানবন্দরের ক্রমবর্ধমান খরচের মতো চলমান চ্যালেঞ্জগুলো এভিয়েশন শিল্পের পুনরুদ্ধারকে বাধাগ্রস্থ করছে।
তিনি বলেন, ‘যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীরা সাপ্লাই চেইন ব্লকেজের সঙ্গে মোকাবিলা করতে অনেক ধীর গতিতে কাজ করেছে যা খরচ বাড়াচ্ছে এবং আমাদের বিমান চালনোর সক্ষমতাকে কমিয়ে দিচ্ছে।’
বিশ্ব বাণিজ্যে মন্দার কারণে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কার্গোর পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
ওয়ালশ বলছেন, নেদারল্যান্ডসের শিফোল বিমানবন্দর এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানবন্দরে খরচ বৃদ্ধিও এয়ারলাইন্সের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে।