এক বিবৃতিতে মিরর গ্রুপ নিউজপেপারস (এমজিএন) বলেছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর হবে না।
এমজিএনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা বেশ কয়েকজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তির মধ্যে প্রিন্স হ্যারি অন্যতম। রাজ পরিবারের সদস্য হওয়ায় তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। রাজ পরিবারের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে অসংখ্য পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যম তাদের নিয়ে খবর প্রকাশে মুখিয়ে আছে।
প্রিন্স হ্যারির আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ‘খুবই জঘন্য পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রিন্স হ্যারিকে লক্ষ্যবস্তু করে তার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।’
প্রিন্স হ্যারির আইনজীবীরা জানান, কোম্পানির এক্সিকিউটিভরা হ্যারির ফোন হ্যাকিং সম্পর্কে জানতেন, কিন্তু তারা তা ঠেকাতে ব্যর্থ হন।
এমজিএন ‘মিরর’ পত্রিকার পাশাপাশি ‘সানডে মিরর’ এবং ‘সানডে পিপল’ও এসব তথ্য প্রকাশ করে। এমজিএনের কর্তৃপক্ষ এক লিখিত বার্তায় বলেছে, তারা প্রিন্স হ্যারি ও অন্যদের বিরুদ্ধে বেআইনি তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশের জন্য ‘রাখঢাক ছাড়াই ক্ষমাপ্রার্থী’।
তারা জানান, আইনি চ্যালেঞ্জে প্রিন্স হ্যারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।
তবে প্রকাশকের আইনজীবী অ্যান্ড্রু গ্রিন কেসি বলেছেন, প্রকাশক মামলার শুনানিতে আড়িপেতে প্রিন্স হ্যারির কথোপকথন শোনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি দাবি করেছেন, আইনি সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর তার মক্কেলের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রিন্স হ্যারির করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৯৬ থেকে ২০১০ সালের ভেতর মিরর পত্রিকায় প্রকাশিত অন্তত ১৪৮ টি আর্টিকেলের তথ্য ফোন হ্যাকিংসহ নানা অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে প্রিন্স হ্যারি আগামী জুনে আদালতে উপস্থিত হবেন। সেক্ষেত্র সম্প্রতিক কালের মধ্যে রাজপরিবারের কোনো সিনিয়র সদস্যের আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার এটিই হবে প্রথম ঘটনা।