ওয়েস্টমিস্টার অ্যাবে থেকে ২৬০ বছর পুরোনো গোল্ড স্টেইট কোচে চড়ে বাকিংহাম প্যালেসে ফিরে যান রাজা চার্লস এবং রানি ক্যামিলা।
রাজা চতুর্থ উইলিয়ামের ১৮৩১ সালের রাজ্যাভিষেকের সময় থেকে প্রতিটি রাজ্যাভিষেকেই এই রাজকীয় বাহন নতুন রাজা-রানিকে প্যালেসে নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হয়েছে।
‘প্রিন্সেস রয়্যাল’ প্রিন্সেস অ্যানে শোভাযাত্রার মূল প্যারেডে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সঙ্গে ফার্স্ট ক্যারেজে ছিলেন ‘প্রিন্স অফ ওয়েলস’ প্রিন্স উইলিয়াম, ‘প্রিন্সেস অফ ওয়েলস’ কেট মিডলটন এবং তাদের তিন সন্তান প্রিন্স জর্জ, প্রিন্সেস শার্লট ও প্রিন্স লুই।
বৃটেইনের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই আয়োজনের প্যারেডে সশস্ত্র বাহিনীর অন্তত ৪ হাজার সামরিক সদস্য অংশ নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কমনওয়েলথের ৩৯ দেশের প্রতিনিধি ও ব্রিটিশ ওভারসিয টেরিটোরির প্রতিনিধিরা।
প্রায় আড়াই কিলোমিটার শোভাযাত্রা শেষে বাকিংহাম প্যালেসে ফিরে আসেন রাজদম্পতি। এ সময় কুচকাওয়াজে অংশ নেয়া সেনারা নতুন রাজা-রানিকে রাজকীয় স্যালুট জানান। থ্রি চিয়ার্সে বাকিংহাম প্যালেস তার রাজ্যপ্রধানকে বরণ করে নেয়।
পুরো অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী ফ্লাই-পাস্ট।
রাজা সপ্তম অ্যাডওয়ার্ডের রাজ্যাভিষেকের পর ১৯০২ সাল থেকে নতুন রাজাকে বরণ করতে শ শ বিমানের ফ্লাই পাস্টের আয়োজন করা হয়। এ সময় বাকিংহাম প্যালেসের বারান্দায় জনগণের উদ্দেশ্য হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানায় রাজপরিবার।
এবারের ঐতিহ্যবাহী এই ফ্লাই-পাস্ট উপভোগ করতে প্যালেস প্রাঙ্গন এবং দ্য মলে ভিড় জমায় হাজার হাজার মানুষ। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে ফ্লাই-পাস্ট সীমিত করা হয়।
৬০টির বেশি বিমান ও হেলিকপ্টারের শো বাতিল করা হয়। ঐতিহ্য রক্ষায় রংবেরঙের ধোঁয়া ছড়িয়ে বাকিংহাম প্যালেসের ওপর দিয়ে উড়ে যায় দ্য রেড অ্যারোস বিমান দল।