ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে এ বৈঠক হয়।
প্রতিমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বাসস জানায়, অ্যামেরিকা পরিবেশ দূষণ, অবকাঠামো ও যানজটের মতো ক্ষেত্রগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে চায়।
বৈঠকে অ্যামেরিকা ও বাংলাদেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন চিপ সেক্টরের উন্নয়ন ও বিকাশ, দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, আইটি কানেক্ট পোর্টাল বাংলাদেশ-ইউএসএ ডেস্ক চালুর পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরোচনা হয়।
পলক বলেন, আইটি ডেস্ক বাংলাদেশের আইটি খাতে অ্যামেরিকান বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে, দেশীয় আইটি কোম্পানির সঙ্গে অ্যামেরিকান আইটি কোম্পানির ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বাড়াবে এবং দুই দেশের ডিজিটাল অর্থনীতি বিকাশের পথ সুগম করবে।
প্রতিমন্ত্রী সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্বে জাপান ও কোরিয়ার মতো ‘আইটি কানেক্ট বাংলাদেশ-ইউএস ডেস্ক’ স্থাপনের প্রস্তাব দেন। তিনি ক্যাশলেস সোসাইটি গঠন, ইনক্লুসিভ সোসাইটির গুরুত্বসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অ্যামেরিকার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
পলক জানান, ধাপে ধাপে দেশেই মাইক্রোচিপ থেকে ন্যানো চিপ ইকো সিস্টেম তৈরি হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস, মাইক্রোচিপের নকশা এবং সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তিতে সক্ষমতা উন্নয়নের মাধ্যমে রিসোর্স ট্যালেন্টপুল তৈরি করা হয়েছে। ফলে আগামী ১০ বছরে ভালোভাবেই বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ অংশ নিতে পারবে।
বাংলাদেশের তরুণরা উদ্ভাবন ক্ষেত্রে দেশে বিদেশে অবদান রাখছে উল্লেখ করে জেমস্ গার্ডিনার বলেন, ‘সম্প্রতি নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি মেধাবী তরুণরা সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।‘
বৈঠকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন এবং ঢাকায় অ্যামেরিকান এমবেসির ইকোনমি, সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড হেলথবিষয়ক কর্মকর্তা শিবানি রসানায়াকাম, ইকোনমিক কমার্শিয়াল স্পেশালিস্ট আসিফ আহমদ ও শীলা আহমেদ এবং আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।