প্রিন্স হ্যারির লেখা বিতর্কিত স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হওয়ার পর এই প্রথম তিনি রাজপরিবারের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, দ্য ডিউক অফ সাসেক্স গত শুক্রবার স্ত্রী-সন্তানদের ছাড়াই অ্যাবেতে পৌঁছান।
রাজা তৃতীয় চার্লস অভিষেক অনুষ্ঠানের ভিডিওতে দেখা যায়, প্রিন্স হ্যারি তার কাজিন প্রিন্সেস বিট্রিস এবং প্রিন্সেস ইউজিনির সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে গল্প করছেন। তিনি রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের সঙ্গেও কথা বলেন। বাবার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে ঝকঝকে মর্নিং স্যুট পরেছেন প্রিন্স হ্যারি।
রাজকীয় এই অনুষ্ঠানে তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক ভুমিকা পালন করতে পারেননি। প্রিন্সেস ইউজিনের স্বামী- জ্যাক ব্রুকসব্যাংকের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।
ব্যাকিংহাম প্যালেসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রিন্স হ্যারি এবং তার চাচা প্রিন্স অ্যান্ড্রু রাজপরিবারে সক্রিয় কোনো সদস্য নন। এ কারণেই অভিষেক অনুষ্ঠানে তারা কোনো দায়িত্ব পালন করার অনুমতি পাননি। এমনকি এক দশক বৃটেইনের সামরিক বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করার সত্ত্বেও পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো রোবস বা সামরিক ইউনিফর্ম পরার অনুমতি পাননি প্রিন্স হ্যারি।
দ্য ডিউক অফ সাসেক্স লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে শুক্রবার সকালে অবতরণের পরে উইন্ডসর ক্যাসেলের ফ্রগমোর কটেজে রাত কাটিয়েছেন। জানা যায়, রাজপরিবার ছাড়ার আগে এখানেই পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি।
বাবার রাজ্যাভিষেক শেষে দেরি না করে বের হয়ে যান প্রিন্স হ্যারি। ধারণা করা হচ্ছে অনুষ্ঠানস্থল থেকে সোজা বিমানবন্দরে গিয়ে ফ্লাইট ধরবেন তিনি, ছেলে আর্চির চতুর্থ জন্মদিন পালন করতে ফিরে যাবেন অ্যামেরিকায়।
ছেলে আর্চি এবং মেয়ে লিলিবেটকে নিয়ে অ্যামেরিকায় নিজেদের বাসভবনে রয়েছেন ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান। গত মাসে রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরপরই ব্যাকিংহাম প্যালেস জানায়, প্রিন্স হ্যারি তার পরিবার ছাড়াই অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতের অমিল থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।