এআই হুমকি নিয়ে বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ৪ ২০২৩, ২২:৪২

জাতিসংঘ আলোচনার তুঙ্গে রয়েছে মানবতার অস্তিত্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাব্য হুমকি। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ আলোচনার তুঙ্গে রয়েছে মানবতার অস্তিত্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাব্য হুমকি। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাব্য হুমকি বিষয়ে প্রথমবারের মতো বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃটেইন আয়োজিত এই বৈঠক হবে ১৮ জুলাই।

বৃটেইনের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড এআইয়ের অস্ত্র হুমকি বিষয়ের বৈঠকটিকে সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের চলতি মাসের মূল আলোচিত বিষয় হিসেবে ঘোষণা করেছেন। বৈঠকে এআইয়ের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকার পরেও সয়ংক্রিয় অস্ত্র কিংবা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা হবে।

বৃটেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অন্তত ১৫টি সদস্য দেশ এতে অংশ নেবে। এছাড়া বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক এআই বিশেষজ্ঞ ও কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টোনিও গুটেরেস বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এআইয়ের সম্ভাব্য হুমকি সম্পর্কে ডেভেলপারদের শোরগোলের পরেও অন্যদের এ বিষয়ে ‘বধির সেজে’ থাকা নিয়ে গুটেরেস গত মাসে সতর্ক করেন।

জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘প্রযুক্তি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা এআইকে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকির সমতুল্য মনে করছেন। মানবতার অস্তিত্বের জন্য এআইকে বিপজ্জনক ও হুমকি হিসেবে ঘোষণা করতে তারা বিশ্বকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’

এর আগে গুটেরেস জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী সেপ্টেম্বরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে একটি উপদেষ্টা বোর্ড নিয়োগের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের অধীনে নতুন একটি সংস্থা গঠন করা হলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। পারমাণবিক শক্তির নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সম্পন্ন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির আদলে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত উডওয়ার্ড বলেন, “আমাদের সবার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক অনেক বড় ক্ষেত্র রয়েছে। তবে একই সঙ্গে এটির ঝুঁকির বিষয়ে একাধিক প্রতিনিধির অন্তর্ভুক্তিকে ‘জোর দিয়ে’ জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী চেষ্টা করে চায়।”

জাতিসংঘের নানা উন্নয়ন কর্মসূচি, মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের উন্নয়ন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা, দৈনন্দিন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ সহ যেকোনো সঙ্ঘাত প্রতিরোধে সহায়তার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাব্য সুযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এইআইয়ের সুবিধার দিকগুলো বিশাল। খুব সহজেই এটি সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ব্যবধান বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে।

‘তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকির দিকটি অবশ্যই গুরুতর প্রশ্নের সৃষ্টি করে। দ্রুতই তার সমাধান প্রয়োজন।’

ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি এড়াতে অ্যামেরিকা বা গ্লোবাল এজেন্সি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এই সংস্থাটি সবচেয়ে শক্তিশালী যেকোনো এএই সিস্টেমের লাইসেন্স দেবে ও প্রয়োজনে ‘সেই লাইন্সেন্সটি বাতিলের এবং সংস্থা প্রবর্তিত সুরক্ষা মান নিশ্চিত’ করার ক্ষমতা পাবে।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন