প্রণয় ভার্মা মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করলে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ফোরামের বর্তমান সভাপতি ভারতের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা জি-২০ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২ এবং খুলনা-মোংলা বন্দর রেলওয়ে লাইন ভারতীয় ঋণের (এলওসি) অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে সংযোগটি ভারতীয় অনুদানে নির্মিত হচ্ছে।
ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার অনুমতি দেয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে আশা করেন ভুটান থেকে ভারতের গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতিও দেবে।’
টাকা-রুপি বিনিময় ব্যবস্থার বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ক্রেডিট কার্ডের মতো দুই ধরনের কার্ড ইস্যু করা হবে। একটি রুপি কার্ড এবং অন্যটি টাকা কার্ড।
তিনি বলেন, ‘উভয় পক্ষই এই কার্ডগুলো ইস্যু করবে যাতে দুই দেশের মানুষ তাদের অর্থপ্রদানের জন্য এই কার্ডগুলো ব্যবহার করতে পারে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ভারতে যান এবং তারা কার্ডটি ব্যবহার করতে পারেন।
প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
বৈঠকে কানেক্টিভিটি, ভারতীয় এলওসি-এর অধীনে চলমান প্রকল্প এবং অনুদানের বিষয়েও আলোচনা হয়।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে রূপান্তরের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘তারা একটি খুব ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।’
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত সারা বিশ্বের পাশাপাশি দক্ষিণ বিশ্বের জন্য বিশেষ করে তার আহ্বান তুলে ধরবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শীর্ষ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ উপস্থিত ছিলেন।