টর্নেডো: ফের ২৬ প্রাণ ঝরল অ্যামেরিকায়
টিবিএন ডেস্ক
এপ্রিল ২ ২০২৩, ১৭:০৭
- 0
দক্ষিণ ও মধ্যপশ্চিম অ্যামেরিকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একের পর এক টর্নেডোয় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ধ্বংস হয়েছে এসব এলাকার ঘরবাড়ি, হাজারও মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ৬০টিরও বেশি টর্নেডো বয়েছে আরকানসা, টেনেসি, ইলিনয়েস, ইন্ডিয়ানা, অ্যালাবামা ও মিসিসিপিসহ ১০টি স্টেইটের বিভিন্ন শহর দিয়ে।
এর মধ্যে বিধ্বস্ত একটি শহর হলো আরকানসা ওয়েন। সেখানে থাকেন অ্যাশলে ম্যাকমিলান।
তিনি জানান, টর্নেডো টের পেয়ে স্বামী, সন্তান ও পোষ্য কুকুরসহ ঘরের বাথরুমে গিয়ে আশ্রয় নেন। মৃত্যুর আশঙ্কা করে একে অন্যকে বিদায়ও জানান তারা।
এক পর্যায়ে ঝড়ের তোড়ে গাছ ভেঙে পড়ে তাদের ঘরের উপর। ঘর তছনছ হলেও বেঁচে যায় পরিবারটি।
ম্যাকমিলান বলেন, ‘ঘর কেঁপে কেঁপে উঠছিল। তীব্র শব্দ হচ্ছিল চারদিকে। এক সময় তো মনে হচ্ছিল আমরা মারা যাচ্ছি।’
এই পরিবারটি বেঁচে গেলেও ওয়েন ও লিটল রক শহরে টর্নেডোর প্রভাবে প্রাণ গেছে ৫ জনের। লিটল রকেই প্রথম আঘাত হানে এই টর্নেডোটি।
আরাকানসার গভর্নর সারাহ স্যানডেরস স্টেইটজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফেডারেল সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গভর্নর।
সিএসবি নিউজের প্রতিবেদন জানিয়েছে, আরকানসাসহ ৮টি স্টেইটে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে টেনেসির ম্যাকনেয়ার কাউন্টিতে ৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সেখানকার শেরিফ অফিস। আর টিপটন কাউন্টি শেরিফ অফিস জানিয়েছে, সেখানে একজন মারা গেছেন।
পাওয়ার আউটেজ ডটইউএস-এর হিসাবে শনিবার রাত পর্যন্ত, পেনসিলভ্যানিয়ার ২০১ হাজারেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন আছেন। ওহাইয়োতে এই পরিস্থিতিতে আছেন ১০৯ হাজার গ্রাহক। আর ভার্জিনয়া, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় এই সংখ্যা ৯৪ হাজার, ৫১ হাজার ও ৪৬ হাজার।
মিসিসিপিতে ইএফ-ফোর মাত্রার বিরল ও শক্তিশালী টর্নেডোয় ২৬ প্রাণহানির এক সপ্তাহ পর অ্যামেরিকা প্রকৃতির এমন ধ্বংসযজ্ঞ আবারও দেখল।
মিসিসিপির টর্নেডোটি ৫৯ মাইল জুড়ে বয়েছিল, স্থায়ী হয়েছিল ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি। এত বেশি সময় টর্নেডো সাধারণত স্থায়ী হয় না।