মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে সুদান, দেশ ছেড়েছে ১ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ

টিবিএন ডেস্ক

মে ৩ ২০২৩, ১৮:২৯

যুদ্ধ থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালাতে মরিয়া সুদান নাগরিকেরা। ছবি: আল জাজিরা

যুদ্ধ থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালাতে মরিয়া সুদান নাগরিকেরা। ছবি: আল জাজিরা

  • 0

সুদানের রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) যুদ্ধ থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়েছে এক লাখেরও বেশি নাগরিক। যারা রয়ে গেছেন, তারা মানবিক সংকটে পড়েছেন। অন্তত ৩ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

জাতিসংঘ এই হিসেব জানিয়ে বলেছে, যুদ্ধ এখানেই না থামলে মানবিক বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়বে সুদানে।

দুই বাহিনীর যুদ্ধে সুদানে এ পর্যন্ত ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ৪ হাজারের বেশি আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জাতিসংঘের রিফিউযি এযেন্সির মুখপাত্র ওলগ্যা সাররাডো জেনেভায় বলেছেন, যুদ্ধ থেকে বাঁচতে সুদান ছেড়ে শরণার্থী শিবিরে এসেছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। অনেকে আবার সুদান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উত্তরের ইজিপ্ট ও পশ্চিমে চাদ প্রজাতন্ত্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
 

অ্যামেরিকাসহ বেশিরভাগ রাষ্ট্র সুদান থেকে নিজ নিজ নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। 

সুদানে জাতিসংঘের হিউম্যানিটেরিয়ান কো-অরডিনেটর আব্দৌ ডিয়েং জানান, দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা লড়াই সুদানের মানবিক সংকট এখন ব্যাপক আকারের বিপর্যয়ে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।তিনি বলেন, ‘সুদানের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ প্রায় ১৬ মিলিয়ন মানুষের এখনই মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। দারফুরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছে।’জাতিসংঘ বলেছে, খার্তুমে খাবার, পানি এবং বিদ্যুৎ ফুরিয়ে যাচ্ছে। চলমান সহিংসতার কারণে জাতিসংঘের পাঠানো প্রয়োজনীয় সহায়তা দেশজুড়ে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাপক লুটপাটও হচ্ছে। এ কারণে সহায়তা সরবরাহের কোনোও নিরাপদ উপায়ও পাচ্ছে না সংস্থাটি।

দুই বাহিনীর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল থেকে চলছে আধিপত্য বিস্তারের যুদ্ধ। এখন বিরতি চললেও থেমে নেই হামলা। শান্তিপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতে দুই পক্ষকেই আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

বিবিসি নিউয জানিয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফকে আলোচনার টেবিলে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হচ্ছে।

দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ও আরএসএফ ৪ মে থেকে সাত দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে ‘নীতিগতভাবে’ রাজি হয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় তাদের প্রতিনিধি পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। 

 

        

সুদানে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ভলকার পার্থেস এর আগের দিন সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছিলেন, দুই পক্ষ একটি ‘স্থিতিশীল এবং নির্ভরযোগ্য’ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিতে সম্মত হয়েছে। আলোচনার জন্য সৌদি আরবকে একটি সম্ভাব্য স্থান হিসেবে বেছে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হলে, সংঘর্ষ শুরুর পর এটিই হবে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম বৈঠক।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন