ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এজেন্সি (আইএইএ) বলেছে, পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে পরিবেশের উপর খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
তবে টোকিও এখনও বর্জ্যপানি ফেলার নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করেনি। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে আরও অনুমোদন প্রয়োজন আছে।
জাপানে ২০১১ সালে নয় মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামি হয়। এতে ফুকুশিমার দাইচি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের তিনটি চুল্লি প্লাবিত হয়। চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর ফুকুশিমার ঘটনাটিকে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সে সময় নরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশেপাশের অঞ্চল থেকে ১৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়। ইতোমধ্যে প্ল্যান্টের ডিকমিশন শুরু হয়েছে, তবে প্রক্রিয়াটি শেষ হতে আরও এক দশক সময় লাগতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এজেন্সির প্রধান রাফায়েল গ্রসি মঙ্গলবার বলেন, দুই বছর ধরে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি একে নিরপেক্ষ ও বিজ্ঞান সম্মত হিসেবে অবহিত করেন।
প্ল্যান্টটিতে দৈনিক ১০০ ঘনমিটার বর্জ্যপানি উৎপাদন হয়। সাইটের ট্যাঙ্কগুলো ১.৩ মিলিয়ন ঘনমিটার ধারণ করতে পারে। কার্বন ও হাইড্রোজেন ছাড়া অন্য তেজস্ক্রিয় উপাদান পানি থেকে আলাদা করা যায়, যাকে ট্রিটিয়াম ও কার্বন ১৪ বলা হয়।
এই বর্জ্যপানি প্রশান্ত মহাসাগরে ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে টোকিও। বলা হচ্ছে, এটি পরিবেশের খুব বেশি ক্ষতি করবে না। তবে চীন ও সাউথ কোরিয়া এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।