এর আগে পিয়ংইয়ং জানায়, অ্যামেরিকার সামরিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য তারা ১১ জুনের মধ্যে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে।
অন্যদিকে নর্থ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিং পিয়ং চোল মঙ্গলবারের উৎক্ষেপণ পরিকল্পনা ঘোষণা করে জানিয়েছিল, এটি অ্যামেরিকা ও সাউথ কোরিয়ার বেপরোয়া সামরিক কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া।
তবে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের পরপরই এটি সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়। এ ব্যাপারে সাউথ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, রকেটটি মাঝ আকাশে ভেঙে যেতে পারে, অথবা রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর বিধ্বস্ত হতে পারে।
নর্থ কোরিয়ার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর সাউথ কোরিয়ায় সতর্কতা সাইরেন আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাসিন্দারা বিমান হামলার সাইরেনে জেগে ওঠার পর তৈরি হয় বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা। তবে ২০ মিনিট পর জানানো হয় সেটি ভুল সাইরেন ছিল।
সিওলের মেয়র ওহ সে-হুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিষয়টিকে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া মনে হতে পারে, তবে নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো আপস করা যাবে না।
অন্যদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, নর্থ কোরিয়ার উৎক্ষেপণটি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা চলছে।
জাপান ও সাউথ কোরিয়ার পাশাপাশি অ্যামেরিকাও নর্থ কোরিয়ার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ চেষ্টার নিন্দা করেছে। এ ঘটনা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের নির্লজ্জ বরখেলাপ বলে মন্তব্য করেছে অ্যামেরিকা।
ন্যাশনাল সিকিউরিটির এক মুখপাত্র বলেন, এ ঘটনায় নর্থ কোরিয়ার জন্য কূটনীতির দরজা বন্ধ হয়নি, তবে পিয়ংইয়ংকে উসকানিমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে।