তবে সংসদে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় অনাস্থা ভোটে মোদি সরকার হারবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিরোধী দলের নেতারা বলছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মণিপুরের ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে কথা বলতে বাধ্য করা হবে।
এই নিয়ে কংগ্রেসের নেতা মানিকম ঠাকুর বলেন, ‘আমরা অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য হয়েছি, কেননা এটিই ছিল আমাদের শেষ উপায়।’
নিয়ম অনুযায়ী, অন্তত ৫০ আইনপ্রণেতা এই অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন দিলে এটি লোকসভায় উঠবে। গৃহীত হলে ১০ দিনের মধ্যে সংসদের স্পিকার ভোটের দিন নির্ধারণ করবেন। ভোটে সরকারি দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করতে পারে সরকার পদত্যাগ করবে।
বিরোধী দল কংগ্রেস ও ভারত রাষ্ট্র সমিতি থেকে দুটি অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয় বুধবার। এর মধ্যে একটি টেবিলে তোলা হয়।
স্পিকার ওমা বিড়লা বলেছেন, সব দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বিতর্ক ও ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবেন।
মণিপুরে গত মে থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি ও উপজাতি কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে চলছে সংঘাত। এতে অন্তত ১৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, বাস্তুচ্যূত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।
সবশেষ কুকি সম্প্রদায়ের দুই নারীকে লাঞ্ছনার ভিডিও ভাইরাল হলে ইস্যুটি বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়।
সংঘাত চলাকালে প্রধানমন্ত্রী মোদি চুপ থাকলেও দুই নারীর ভিডিও ভাইরালের পর তিনি ঘটনাটিকে লজ্জাজনক বলেন। এরপর সংসদে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
এই নিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে সংসদের অধিবেশন পন্ড করে বিরোধী দল।
তাদের দাবি, সংসদে মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বিষয়ে বিবৃতি দিতে হবে।তবে এখনো পর্যন্ত সাড়া দেননি মোদি।
এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে মোদি সরকার। প্রথমবার ২০১৮ সালে তারা অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছিলেন।