কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর শনিবারে নায়োরিট স্টেইটের টেপিক শহরের এল আগুয়াকাতে গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তার মরদেহের সঙ্গে দুটি বার্তা সংযুক্ত করা ছিলো। তবে সেখানে কী লেখা ছিল কর্তৃপক্ষ তা প্রকাশ করেনি।
ধারণা করা হচ্ছে, সানচেফের মরদেহ পাওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে তাকে মেরে ফেলা হয়। কাজের সূত্র ধরেই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি স্টেইটটি থেকে তিনজন সাংবাদিক নিখোঁজ হন। তাদের একজন ছিলেন সানচেফ ।
এছাড়া একজন শিক্ষক ও একজন রিপোর্টার শুক্রবারে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। জোনাথান নামে সেই শিক্ষককে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও ওসাইরিস নামে রিপোর্টার এখনও নিখোঁজ।
সানচেফের মৃত্যুতে দেশ ও দেশের বাইরে উভয় জায়গায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মেক্সিকান কমিশন ফর দ্য হিউম্যান রাইটস এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনা স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছে। তারা সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবি করেছে।
সানচেফই সেখানে নিহত হওয়া প্রথম সাংবাদিক নন বলে লা জর্ডানা জানিয়েছে। তারা বলেছে সম্প্রতি অন্তত আরও চারজন সাংবাদিককে মেরে ফেলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ রিপোর্টারস উইথাউট বর্ডারস অনুযায়ী, মেক্সিকোতে ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন সাংবাদিককে মেরে ফেলা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই দুর্নীতি ও মাদকের রিপোর্ট করতেন।
মেক্সিকোকে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলোর একটি বিবেচনা করা হয়।