হিন্দু কট্টরপন্থীদের দাবি, চলচ্চিত্রের যৌন দৃশ্যে সনাতন ধর্মের অন্যতম পবিত্র গ্রন্থ গীতার শ্লোক উচ্চারণ করা হয়েছে। এতে গীতার অবমাননা হয়েছে।
দৃশ্যটি নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন রাজনীতিক ছবিটিকে হিন্দুত্বের ওপর চরম আক্রমণ বলেছেন। এটিকে হিন্দু-বিরোধী অপশক্তির বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি।
সিনেমায় এক যৌন দৃশ্যের মাঝখানে অভিনেত্রী ফ্লোরেন্স পিউ হাতে একটি ভগবদ গীতা নিয়ে তার সঙ্গী কিলিয়ান মারফিকে পড়তে বলেন। এসময় ওপেনহেইমারের চরিত্রে অভিনয় করা মারফি গীতা থেকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘এখন আমিই মৃত্যু, পুরো বিশ্বের বিনাশকারী।’ এ কথা বলার পর আবারও যৌন দৃশ্য শুরু হয়।
এক বিবৃতিতে শনিবার ভারতের তথ্য কমিশনার উদয় মাহুরকার বলেন, 'দৃশ্যটি এক বিলিয়ন সহনশীল হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর সরাসরি আঘাত। আমরা বিশ্বাস করি সিনেমাটি থেকে যদি স্পর্শকাতর দৃশ্যটি সরিয়ে নেয়া হয় তবে কোটি কোটি মানুষ তাদেরকে ভালোবাসা উপহার দেবে।’
তবে এ পর্যন্ত ভারতের কোনো রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ওপেনহেইমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি।
ভারতের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমাদৃত হয়েছে ওপেনহেইমার। সিনেমাভক্তরা খ্যাতনামা পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের সবশেষ এ ছবিটি দেখার জন্য হলে ভিড় জমাচ্ছেন।
এর আগে শাহরুখ খানের সিনেমা পাঠান ও প্রাভাসের সিনেমা আদিপুরুষ নিয়েও চটেছিলেন হিন্দুত্ববাদীরা। পাঠানের নায়িকা দীপিকা পাডুকোনের গেরুয়া রঙের বিকিনি নিয়ে আপত্তি ছিল তাদের। আর রামায়নের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত আদিপুরুষের সংলাপ নিয়েও নাখোশ ছিলেন তারা।