উদ্ভাবিত এআই প্রযুক্তির নাম দেয়া হয়েছে ডিপগ্লিওমা। গবেষকরা ১৫০ জনের বেশি রোগীর টিউমারের নমুনা বিশ্লেষণ করেছেন। তাদের সবার ক্যানসারাস ডিফিউজগ্লিওমা টিউমার ছিল। সাধারণত মস্তিষ্কে বা স্পাইনাল কর্ডে এ ধরনের টিউমার তৈরি হয়।
দেখা গেছে, ডিপগ্লিওমা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে নির্ভুলতার সঙ্গে গ্লিওমা টিউমারে ক্যানসারের জেনেটিক মার্কারশনাক্ত করতে পেরেছে।
ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান হেলথের নিউরোসার্জন এবং ইউ-এম মেডিক্যালস্কুলের নিউরোসার্জারির সহকারী অধ্যাপক ডা. টডহলোন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘মারাত্মক মস্তিষ্কের টিউমারে দ্রুততার সঙ্গে ক্যানসার শনাক্ত করতে এআইভিত্তিক টুলটির সক্ষমতা আগামীতে আরও উন্নত করা সম্ভব।’
ডা. হলোনের নেতৃত্বেই ডিপগ্লিওমা উদ্ভাবন করা হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে নেচার মেডিসিনজার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধের তিনি প্রধান লেখক।
মস্তিষ্কের টিউমার টিস্যুর রিয়েল-টাইম ছবি ধারণ করতে এই ডিপগ্লিওমা সিস্টেম অপটিক্যাল ইমেজিং ব্যবহার করে।
ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলাহয়, ‘ম্যালিগন্যান্ট ডিফিউজ গ্লিওমাস টিউমারে আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত মাত্র ১৮ মাস বেঁচে থাকেন।’
সবচেয়ে মারাত্মক এই মস্তিষ্কের টিউমারের চিকিৎসায় গত কয়েক দশকে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। কারণ কোনটি ক্যানসারে রূপ নেবে তা আগে থেকে চিহ্নিত করা ছিল বেশ কঠিন।