তাইওয়ানের দাবি, তাদের পূর্বাঞ্চলের আকাশসীমায় কিছু জেটবিমান দেখা গেছে। আর চায়না জানায়, সামরিক মহড়ার জন্য তাদের নৌবাহিনী বিমানবাহী রণতরী শানতুং ব্যবহার করেছে।
সিএনএন-এর প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
অ্যামেরিকান হাউয স্পিকার ক্যাভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক শেষে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন দেশে ফেরার এক দিন পরেই শনিবার দেশটিকে ঘিরে চায়না তিন দিনের সামরিক মহড়া শুরু করে।
তাইওয়ান একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হলেও, বেইজিং এটিকে চায়নার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। এই মহড়ার মাধ্যমে দ্বীপদেশটির সরকারকে বেইজিং ‘কঠোর বার্তা’ দিতে চায় বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
চায়না সোমবার ‘সফলভাবে’ মহড়া শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়।
একইদিন তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর পূর্বাঞ্চলের আকাশে চারটি জে-ফিফটিন ফাইটার জেট দেখা গেছে। অর্থাৎ, পশ্চিমে নিজেদের মূল ভূখণ্ড রেখে পূর্বদিক থেকে হামলার মহড়া দিয়েছে চায়না। আর এবারই প্রথম ফাইটার জেট তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন অতিক্রম করেছে।
তাইওয়ান থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে প্যাসিফিক মহাসাগরে পশ্চিমে চায়নার শানতুং রণতরী অবস্থান নিয়েছে।
চায়না সেনাবাহিনী সোমবার বিবৃতি দিয়ে জানায়, তাজা গোলাবারুদ বোঝাই ফাইটার জেট ব্যবহার করে তারা কয়েকটি হামলার মহড়া চালিয়েছে।
তাইওয়ানকে ঘিরে চায়নার এ ধরনের সামরিক মহড়া প্রায়ই চলে থাকে। তবে এবারের মহড়াটিকে ম্যাকার্থির সঙ্গে সাইয়ের বৈঠকের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট সাই শনিবার বলেন, তার সরকার অ্যামেরিকা এবং অন্য গণতন্ত্রিক দেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে। কারণ তার দেশ চায়নার ‘নিরবচ্ছিন্ন কর্তৃত্ববাদী সম্প্রসারণবাদ’-এর মুখোমুখি হচ্ছে।
তাইপেইতে মাইকেল ম্যাককলের নেতৃত্বে অ্যামেরিকান কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট সাই এ মন্তব্য করেন।
এ সময় ম্যাককল বলেন, ‘ওয়াশিংটন তাইওয়ানে অস্ত্র সরবরাহের জন্য কাজ করছে, তবে সেটা যুদ্ধের জন্য নয়, শান্তির উদ্দেশে।’