আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টির আগামী দুই দিনে গুজরাট উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতে বেশ কয়েকটি উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি ও প্রবল জোয়ারের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলেদের সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের ওপরেও দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
দ্য ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) সোমবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ জুনের ভেতর উত্তরে এগিয়ে এরপর উত্তর-পূর্বে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ অতিক্রম করে ১৫ তারিখ দুপুরে গুজরাটের মান্ডভি ও পাকিস্তানের করাচির মধ্যবর্তী উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
উপকূলে আঘাতের সময় ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার এবং দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে তা ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
আইএমডির দাবি, অত্যন্ত শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় আরও তীব্র হচ্ছে, যাকে ক্রান্তীয় ঝড়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
এক বৈঠকে সোমবার সরকারি কর্মকর্তারা ঘূর্ণিঝড়ের দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং সম্ভাব্য ক্ষতি রুখতে প্রশাসনের পদক্ষেপ সম্পর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিস্তারিত জানান।
জাতীয় আবহাওয়া দফতরের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, ‘বিপর্যয়’ এর কারণে মুম্বাই এবং মহারাষ্ট্রের নানা এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় রোববার সন্ধ্যায় মুম্বাই বিমানবন্দরের একাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়।