ঢাকার গুলশানে রোববার তার লেখা ‘এগিয়ে যাও বাংলাদেশ’ বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন… সবাই মুখে মুখে বলছি নির্বাচন খুব ক্রুশিয়াল হবে, কিন্তু আমি মনে করি কোনো ক্রুশিয়াল নয়।
‘দেশে একটি সংবিধান আছে। কারও মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।’
মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) একদম তাদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা প্রয়োগ করে সংবিধানের আলোকে একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হবে।
‘সেখানে রাষ্ট্রপতি একজন সুপ্রিম কমান্ডার হিসেবে আমার যেটুকু দায়িত্ব সেই নিরপেক্ষতাটাকে বজায় রাখার জন্য, সমস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জন্য যতটুকু প্রয়োজন করব।’
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
ঢাকার গুলশানে দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির লেখক নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে বইটি হস্তান্তর করা হয়।
নিজের লেখা বই সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্ন ঘটনাবহুল প্রবন্ধ সমৃদ্ধ বই 'এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ' গ্রন্থের পাতায় পাতায় বিধৃত হয়েছে শৈশব থেকে শুরু করে পুরো জীবনের কথা; সংগ্রাম, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, জেল জীবন, কর্মজীবন, সংসার-জীবন, চিন্তাদর্শ তথা সবকিছুর পরিচয়।“
২০৪ পৃষ্ঠার এই বইটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে মো. সাহাবুদ্দিনের দুষ্প্রাপ্য ও ঐতিহাসিক কিছু আলোকচিত্র যুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বইটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে গৃহীত নানা পদক্ষেপ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, করোনা সংকট মোকাবিলা, পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন, স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিসহ বহু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রনেতা হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে লেখা সাতটি কলাম।’
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবনে আগামী ২৪ এপ্রিল বেলা ১১টায় তার শপথ নেয়ার কথা রয়েছে।