বিমানবন্দরে ব্যাগ স্ক্যানের আগে ল্যাপটপ কেন সরাতে হয়?
টিবিএন ডেস্ক
জুলাই ১৮ ২০২৩, ২২:১২
- 0
বিমানে ভ্রমণকারীরা বিমানবন্দরে নানান হাঙ্গামা পোহানোর কথা ভালো করেই জানেন। নানান ধরনের তল্লাশির ধাপ পার হতে অনেকের জীবন জেরবার।
বিমানবন্দরে খুব স্বাভাবিক তল্লাশির অংশ হলো লাগেজ স্ক্যান। তবে সেই ধাপে যাওয়ার আগে লাগেজে ল্যাপটপ থাকলে সেটি বের করে নিতে বলেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
বলুন তো কেন এমন হয়? লাগেজের ভিতরে ল্যাপটপ থাকলে কী এমন বিপত্তি ঘটে সিকিউরিটি স্ক্যানে?
অ্যামেরিকায় ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর গোটা বিশ্বে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হয়েছে। এর আগে ক্যারি অন ব্যাগে ছুরিও নেয়া যেত। সেটি এখনকার দিনে এক কথায় অসম্ভব।
অনেক বিমানবন্দরে জুতা, বেল্ট এমনকি আন্ডারওয়্যার পর্যন্ত খুলে যাত্রীদের চেক করা হয়। সেই সঙ্গে আপনার মোবাইল, ল্যাপটপ, বিস্ফোরক হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে এমন সব তরল পদার্থ থাকে বিশেষ পরীক্ষার আওতায়।
আপনার ব্যাগ ও ডিভাইস যে মেশিনে পরীক্ষা তাকে বলা হয় এক্স-রে মেশিন। এতে লাগেজ ঢোকানোর আগে অবশ্যই ল্যাপটপ থাকলে বের করে নিতে হয়।
এর মূল কারণ হলো ল্যাপটপের ব্যাটারি এবং অন্য যান্ত্রিক সরঞ্জাম। এগুল এক্স-রে মেশিনের মাধ্যমে সবসময় ভালোভাবে পরীক্ষা করা যায় না। এছাড়া এক্স-রে মেশিন পুরোনো হলে তো আরও অসুবিধা।
পাওয়ার কার্ডস, ট্যাবলেট এবং ক্যামেরার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে থাকে। আর তাই এসব জিনিস ব্যাগের মধ্যে থাকে তাহলে যথাযথ সিকিউরিটি চেক হয় না। এজন্য সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় এগুলো ব্যাগ থেকে আলাদা করার নির্দেশনা দেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
বর্তমানে কিছু বিমানবন্দরে থ্রিডি স্ক্যানিং সুবিধা রয়েছে। এসব বিমানবন্দরে ল্যাপটপ ব্যাগ থেকে না সরিয়েই সেগুলো স্ক্যানারে পরীক্ষা করা সম্ভব।
বিমানবন্দরে শুধু আপনার ডিভাইস নয় আপনাকেও স্ক্যান করা হয়। আপনি যে লম্বা ফ্রেমের নিচ দিয়ে যান সেটি মেটাল ডিটেক্টর। এগুলো পোশাকের নিচে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র বা অন্য অবৈধ বস্তু শনাক্ত করতে পারে। তবে মেটাল ডিটেক্টরগুলো নন-আয়নাইজিং রেডিয়েশন ব্যবহার করে বলে এগুলো থেকে এক্স-রে নির্গত হয় না।