জাদুগার ফিল্মস ও সামির রাজ সিপ্পি প্রোডাকশনের যৌথ উদ্যোগে ১৯৭০ দশকের হিন্দি ফিল্ম ‘মিলি’, ‘কোশিশ’ এবং ‘বাওয়ারচি’ পুনঃনির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনটি চলচ্চিত্রই এন. সি. সিপ্পির প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছিল। গুলজার পরিচালিত ১৯৭২ সালের কোশিশ-এ অভিনয় করেন সঞ্জীব কুমার ও জয়া বচ্চন। সেখানে বধির ও বোবা এক দম্পতির চরিত্র ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছিল। কোশিশ-এ অভিনয়ের জন্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতেন সঞ্জীব (সেরা অভিনেতা) এবং গুলজার (সেরা চিত্রনাট্য)।
১৯৬১ সালের জাপানিজ চলচ্চিত্র ‘হ্যাপিনেস অফ আস অ্যালোন’-এর আদলে তৈরি হয় সিনেমাটি।
হৃষিকেশ মুখার্জি পরিচালিত আরেকটি চলচ্চিত্র ‘মিলি।’ ১৯৭৫ সালের মুভিটিতে অভিনয় করেন বলিউড লিজেন্ড অমিতাভ বচ্চন ও তার স্ত্রী জয়া বচ্চন। একজন হতাশাগ্রস্ত মদ্যপ এবং তার প্রফুল্ল প্রতিবেশীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান রোম্যান্সকে ঘিরে গড়ে ওঠে সিনেমাটি। এতে অভিনয়ের জন্য জয়া বচ্চন ফিল্মফেয়ার নমিনেশন পান।
রিমেকের তালিকায় আরেকটি সিনেমা হৃষিকেশ মুখার্জি পরিচালিত ‘বাওয়ারচি।’ ১৯৭২ সালের এ চলচ্চিত্রে রাজেশ খান্না ও জয়া বচ্চন অভিনয় করেছিলেন। রাজেশ একজন প্রতিভাবান গৃহকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তপন সিনহার ১৯৬৬ সালের বাংলা চলচ্চিত্র ‘গল্প হলেও সত্যি’-এর রিমেক ছিল বাওয়ারচি।
রিমেকগুলো সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। চলচ্চিত্রের কাস্ট এবং কলাকুশলীদের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
জাদুগার ফিল্মসের অনুশ্রী মেহতা ও আবির সেনগুপ্ত বলেন: “সর্বকালের তিনটি জনপ্রিয় সিনেমা নতুন ছাঁচে তৈরি করার এই জাদুকরী যাত্রা শুরু করতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। কিংবদন্তি গুলজার ও হৃষিকেশ মুখার্জির ‘কোশিশ’, ‘বাওয়ারচি’ এবং ‘মিলি’-র পুনঃনির্মাণ আসলে বিশাল এক দায়িত্ব। এই ফিল্মগুলো দেখেই আমরা বড় হয়েছি… আমরা দায়িত্ব নিয়ে রিমেকগুলো নির্মাণে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”
প্রডিউসার এন. সি. সিপ্পির নাতি সমীর রাজ সিপ্পি বলেন, “আমি মনে করি চলচ্চিত্রগুলো মানুষের কাছে যথেষ্ট আকর্ষণীয় মনে হবে। এখনই সময় আমাদের ক্ল্যাসিক গল্পগুলোতে নতুন ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসা। ‘বাওয়ারচি’, ‘মিলি’ এবং ‘কোশিশ’-এর রিমেকের পেছনে এই আমাদের উদ্দেশ্য। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কিংবদন্তি পরিবার থেকে বেড়ে উঠে এবং পারিবারিক ব্যবসায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আমার দাদা এন. সি. সিপ্পি, চাচা রমু সিপি এবং আমার বাবা রাজ সিপির উত্তরাধিকার ধরে রাখতে চাই।”