নিলামের পর ব্র্যান্ডটির ১২০টি দোকান চালু থাকবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
বাই বাই বেবিকে অনেক বিশ্লেষক বেড বাথ অ্যান্ড বিয়ন্ডের মালিকানাধীন সবেচেয়ে মূল্যবান ব্র্যান্ড হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর তাই শিশুপণ্যের এই রিটেইল ব্র্যান্ডের জন্য একটি আলাদা নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অবশ্য এরপরেও ব্র্যান্ডটির ভবিষ্যৎ নিয়ে, বিশেষ করে এটির স্টোরফ্রন্ট নিয়ে শঙ্কা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিএনবিসি গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, বাই বাই বেবি ব্র্যান্ডের মালিকানা কিনতে এক দরদাতা আগ্রহ প্রকাশ করেও পিছিয়ে এসেছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ব্র্যান্ডটিকে আবার সচল করতে বিশাল অংকের অর্থ খরচ হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি ভবিষ্যতে এটি মোটেও লাভজনক হবে না। তাদের ১০টি বা ৪০টি দোকানের লাভজনক মডেলও নেই।’
গ্লোবালডেটা কনসালটেন্সির রিটেইল ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিল সন্ডার্স জানিয়েছেন, ধীর অর্থনীতির মধ্যে বিগ-বক্স স্টোরগুলোও সম্ভাব্য খুচরা ব্রিকেতা হিসেবে বাজারে প্রবেশ করছে। যা রিটেইল শপগুলোর জন্য ব্রিক-অ্যান্ড-মর্টার হিসেবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রশ্ন প্রতিযোগিতার। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে গ্রাহকের প্রথম পছন্দ ফিজিক্যাল স্টোর। শিশুদের অভিভাবকেরা এখনও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্থায়ী দোকানে গিয়ে বাচ্চাদের জিনিসপত্র কেনেন। কারণ দোকানগুলো আপনি অনেক শহরেই পাবেন। এমনকি তার পণ্যগুলো দামেও সস্তা। সবার জন্যই তা সুবিধাজনক।’
ডিরেক্ট-টু-কনজিউমার অনলাইন রেজিস্ট্রি বেবিলিস্টের সিইও নাটালি গর্ডন বলেছেন, বাই বাই বেবির ডোমেইন নাম ও ট্রেডমার্ক কিনতে তারা একটি দরপত্র জমা দিয়েছে।
বেবিলিস্ট জানায় ২০২২ সালে তারা প্রায় ২৯০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে ও তাদের ব্র্যান্ড একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান।
বেড বাথ অ্যান্ড বিয়ন্ড এপ্রিল মাসে দেউলিয়াত্ব সুরক্ষার জন্য আবেদন করে জানিয়েছিল, তাদের পাঁচ বিলিয়নেরও বেশি ঋণ রয়েছে৷ ব্র্যান্ডটিকে একাধিকবার পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যয় কমাতে তাদের একাধিক স্টোর বন্ধ করার ঘোষণা দেয়া হয়।