বৃটেইনের সহায়তার এই নতুন প্যাকেজটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য, পানি ও স্যানিটেশন এবং শরণার্থী ও প্রতিবেশী স্বাগতিক সম্প্রদায়কে শিশু সুরক্ষা সেবা দেবে।
বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ও এ সহায়তা পাবে।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক তার প্রথম কক্সবাজার সফরে এ সহায়তার ঘোষণা দেন।
হাইকমিশনার বলেন, বৃটেইন রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সব সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে মানবিক প্রয়োজনে সাড়া দেয়ার জন্য ইউকে সহায়তার ১১ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ডের এই নতুন প্যাকেজটি ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
হাইকমিশনার এ সময় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অব্যাহতভাবে আতিথ্য দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজতে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন দিতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, সহায়তার এই নতুন প্যাকেজটি সারাদেশের বাংলাদেশি সম্প্রদায়কে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব মোকাবিলায় সাড়া দিতেও সাহায্য করবে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়িত এই সহায়তা রোহিঙ্গা শিবির এবং প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের প্রয়োজন এবং সারা বাংলাদেশের মানুষকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করার মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।