১১ মিনিটের ভিডিওবার্তায় তিনি সোমবার বলেন, ‘মার্চের উদ্দেশ্য ছিল ভাগনারের বিনাশ ঠেকানো এবং সেইসব অফিসারদের জবাবদিহিতে বাধ্য করা, যাদের অপেশাদার পদক্ষেপের কারণে বিপুল ক্ষতি হয়েছে।’
প্রিগোযিন জানান, বিদ্রোহের লক্ষ্যবস্তু কোনোভাবেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ছিলেন না। এমনকি তার সেনারা এখন নতুন করে আবার মার্চ করতে প্রস্তুত, যাতে শ্লোগানই হবে- ‘আমরা রাশিয়ার সরকার হটাতে মিছিল করিনি।’
রেস্তোরাঁ ও ক্যাটারিং ম্যাগনেট ইয়েভগিনি প্রিগোযিন প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি ভাগনারের প্রতিষ্ঠাতা। তার গ্রুপের সদস্যরা নিয়মিত রাশিয়ান সেনাদের সঙ্গে মিলে ইউক্রেইনের বাখমুতে হামলা চালিয়েছে।
তবে রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের কট্টর সমালোচক প্রিগোযিন। ইউক্রেইনে সামরিক অভিযান ভুলভাবে পরিচালনার জন্য দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে দায়ী করেন তিনি।
প্রিগোযিনের নেতৃত্বে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার পর্যন্ত বিদ্রোহ করে ভাগনার। বাহিনীর ২৫ হাজার মিলিশিয়া সেনা, রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্টভ- অন-ডনের দখল নেয়। তাদের দাবি ছিল, ‘জীবনের বিনিময়ে’ হলেও তারা পুতিনের সামরিক বাহিনীর উপর প্রতিশোধ নেবে।
ভাগনারের টেলিগ্রাম চ্যানেলে শনিবার পোস্ট করা এক বার্তায় বলা হয়, ‘পুতিন ভুল করেছেন। তিনি নিজের জন্যই বিপদ ডেকে এনেছেন। খুব শিগগিরই আমরা নতুন প্রেসিডেন্ট পাব।’
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় ভাগনার বাহিনীর কয়েক মিলিশিয়া নিহতের প্রতিবাদ হিসেবে প্রিগোযিন এমন ঘোষণা দেন।
তবে মস্কোর উদ্দেশে যাত্রা করা ইউনিটটি প্রায় অর্ধেক পথ অতিক্রম করে ভরোনেয শহর পার হয়ে লিপেটস্কে পৌঁছানোর পর পিছিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
এ বিষয়ে সোমবারের বার্তায় প্রিগোযিন জানান, বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে বিদ্রোহ অবসানের সিদ্ধান্ত নেয় ভাগনার।
রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের বিষয়ে তিনি জানান, ইউক্রেইনে রাশিয়ার প্রথম সামরিক অভিযানে ভাগনার সেনারা যুক্ত থাকলে সেটি অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত।