মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করার মাধ্যমে অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর জোর দিচ্ছেন ডেমোক্যাটিক পার্টির নেতা জো বাইডেন।
তিনি বলছেন, ট্রিকল-ডাউন নীতির কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ব্যর্থ হয়েছে। একই কারণে অ্যামেরিকাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমেই প্রথম ‘বাইডেনোমিক্স’ শব্দটির ব্যবহার হয়। এ সম্পর্কে বাইডেনও বলছেন, শব্দটির প্রচলন তার হাত ধরে হয়নি। তবে তার পরিকল্পনাকে বাইডেনোমিক্স হিসেবে উল্লেখ করায় তিনি খুশি।
বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার সময় মহামারি প্রকোপ বাড়ছিল। অর্থনৈতিক পরিস্থিতিরও অবনতি ঘটছিল, ব্যাহত হচ্ছিল সরবরাহ ব্যবস্থা। মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ বেকার হয়, হাজার হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়।
প্রেসিডেন্ট জানান, মহামারির পর পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধির হার অ্যামেরিকার।
তিনি তিন স্তরের পরিকল্পনার কথা জানান। প্রথমত, অ্যামেরিকায় স্মার্ট বিনিয়োগ করা। দ্বিতীয়ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে গড়ে তুলতে শ্রমিকদের শিক্ষা এবং ক্ষমতা দেয়া। তৃতীয়ত, জিনিসপত্রের দাম কম রাখতে প্রতিযোগিতায় উৎসাহ দেয়া এবং ক্ষুদ্র ব্যাবসায় সহায়তা দেয়া।
৩৫ মিনিটের ভাষণে বাইডেন বলেন, বাইপার্টিযান ইনফ্রাসট্রাকচার ল এবং ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্টের ফলে কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ সৃষ্টি হয়েছে।
ইনফ্রাসট্রাকচার লয়ের বিরুদ্ধে ভোট দিলেও সম্প্রতি রিপাবলিকান সেনেটর টমি টিউবারভিল এই আইনের ইতিবাচক প্রভাব দেখে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন। রিপাবলিকানদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিভাজন কমিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে তার পরিকল্পনা সহায়তা করবে। কোনো কিছু কার্যকর হলে তার ব্যাপারে অযৌক্তিক কথা বলা কঠিন বলেও মনে করেন তিনি।
এবিসি নিউয এবং ওয়াশিংটন পোস্টের যৌথ জরিপে গত মাসে অর্থনীতি ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে ছিলেন। ট্রাম্পকে ৫৬ শতাংশ মানুষ সমর্থন করেছে।