বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বড় শত্রু স্মার্টফোন: ফখরুল

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ৮ ২০২৩, ১৯:৩১

বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ফোন হ্যাক করার অভিযোগ তুলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি কোলাজ: টিবিএন

বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ফোন হ্যাক করার অভিযোগ তুলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি কোলাজ: টিবিএন

  • 0

বাংলাদেশ সরকার ‘পেগাসাস’ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের স্মার্টফোন হ্যাক করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি শনিবার এক আলোচনা সভায় আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এবং বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে।

বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে ফখরুল বলেন, ‘আপনার পকেটে থাকা টেলিফোন (সেলফোন) এখন আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু।

‘সরকার পেগাসাস স্পাইওয়্যার দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করেছে। তারা এখন বিরোধী দলকে দমন করতে এবং ভিন্নমত দূর করতে বিরোধী দলের নেতাদের টেলিফোন হ্যাক করছে। এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে ঘটতে পারে না...আমার গোপনীয়তা, রাজনীতি ও গণতন্ত্র আমার অধিকার। গণতন্ত্র অনুযায়ী সরকার চাইলেই আমার সব অধিকার কেড়ে নিতে পারে না।’

ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘সরকার বিরোধী দলকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরাতে অতীতের মতো রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তাদের নানা চক্রান্ত বাস্তবায়ন শুরু করেছে।

‘আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৩ সাল থেকে করা রাজনৈতিক মামলাগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে এবং দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচারকদের চিঠি দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দেশকে সম্পূর্ণরূপে বিরাজনীতিকরণ এবং বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়াই একটি একতরফা নির্বাচন করার লক্ষ্য প্রকাশিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনে গিয়ে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে না।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতার কোনো মানে নেই, কারণ এটা আবারও জনগণকে বোকা বানাবে। গণতান্ত্রিক রীতি অনুযায়ী কিছু আলোচনা হতে পারে, কিন্তু সরকার গণতন্ত্র ও অন্যের অধিকারে বিশ্বাস করে না বলে আমরা কার সঙ্গে আলোচনা করব?’

ফখরুল বলেন, ‘সরকার বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দিতে এবং বিরোধী দলের নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য করে ফেলার চেষ্টা করছে। তবে জনগণ এবার জেগে উঠেছে এবং তারা সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এখন এক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ যে আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে এবং বর্তমান সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। এই শাসন ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে অবৈধ এবং এর অধীনে আরেকটি নির্বাচন করে জনগণের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন ধ্বংস করার কোনো অধিকার নেই।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন