তিনি জানিয়েছেন, এফবিআইয়ের একটি আনক্লাসিফায়েড নথি তার হাতে এসেছে। তাতে বলা আছে, বুরিসমার দুর্নীতির তদন্তে থাকা প্রসিকিউটরকে সরিয়ে দেয়ায় সহযোগিতার বিনিময়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর কাছে কয়েক মিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন বাইডেন ও তার ছেলে।
ফক্স নিউজের প্রতিবেদন বলছে, নথিটি এফবিআই জেনারেটেড এফডি- ওয়ান-জিরো-টু-থ্রি ফর্ম। ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের হুইসেলব্লোয়ারদের কাছ থেকে বৈধভাবে সেটি আদায় করেছেন সেনেটর গ্র্যাসলি।
নথিতে বলা আছে, বুরিসমার সঙ্গে হান্টার বাইডেনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এফবিআই বেশ কিছু সূত্রের সাক্ষাৎকার নেয়। এর মধ্যে একটি সূত্র জানায়, কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী মিকোলা যেলোশেভস্কি তাকে হান্টারের বিরুদ্ধে কিছু কথা বলেছেন।
সেই সূত্রকে যেলোশেভস্কি জানিয়েছেন যে, বুরিসমার তদন্তকাজ থেকে ইউক্রেইনিয়ান প্রসিকিউটর জেনারেল ভিক্টর শোকিনকে সরিয়ে দিতে সহায়তার করার বিনিময়ে মোটা অংকের অর্থ তার কাছে দাবি করেছিলেন বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার। সেই অর্থ দিতে তারা যেলোশেভস্কিকে বাধ্য করা হয়েছিল।
হান্টার বুরিসমার বোর্ডে যোগ দেন ২০১৪ সালে। অ্যামেরিকার তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সে সময় ওবামা প্রশাসনের ইউক্রেইন পলিসি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন।
বুরিসমার বিরুদ্ধে সে সময় কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল, যা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ইউক্রেইনিয়ান প্রসিকিউটর জেনারেল শোকিনকে।
কোম্পানিটির বোর্ডে যুক্ত হওয়ার পর শোকিনকে তদন্তকাজ থেকে হটিয়ে দিতে সে দেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেনকোকে রাজি করান হান্টার। শোকিনকে না সরানো পর্যন্ত সেদেশে অ্যামেরিকার এক বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা স্থগিত রাখা হবে বলে হুমকি দেন বাইডেনপুত্র।
জো বাইডেন ও তার মিত্ররা বরাবরই বলে আসছেন, শোকিনকে বরখাস্ত করার পক্ষে সে সময় অ্যামেরিকা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীতিগত অবস্থান ছিল।