সপ্তাহের শুরুতে স্টেইট হাউয রিপাবলিকানরা ‘সেনেট বিল নাইন্টিনাইন’-এ অনুমোদন দেন। এরপর শুক্রবার বিলটিতে সই করেন যিয়ানফোর্ট।
নতুন আইনে পিউবার্টি ব্লকারস, ক্রস-সেক্স হরমোন এবং শিশুদের ট্রান্সজেন্ডার সার্জারি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সারা দেশে অন্যান্য রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন স্টেইটগুলোতেও অনুরূপ বিল অনুমোদনে জোর দেয়া হয়েছে।
স্টেইট হাউয বিলটি উত্থাপনের পর এর তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন স্টেইটের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার আইনপ্রণেতা যুয়ি যেফির। তিনি গত ১৮ এপ্রিল এক বিবৃতিতে বলেন, বিলে সম্মতি দিলে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের হাত রক্তের দাগ লেগে থাকবে।
যেফির বলেন, ‘আপনারা এই বিল ও সংশোধনীতে হ্যাঁ ভোট দিলে, আমি আশা করবো এরপর থেকে আপনারা প্রার্থনায় মাথা নত করলে হাত রক্তে রঞ্জিত দেখবেন।’
যেফির দাবি করেন, কিশোরদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ পরিবর্তন চিকিৎসা সেবা বন্ধ করার বিষয়টি এক ধরনের নির্যাতন। এটি ট্রান্সজেন্ডার শিশুদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়িয়ে তুলবে।
তবে রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা গত বুধবার যেফিরের মাইক্রোফোন বন্ধ করে ফ্লোরে তার বক্তব্যের সমালোচনা করেন। পরে রিপাবলিকান স্পিকার ম্যাট রেযিয়ার যেফিরের অন্য এক বিলে কথা বলার অনুরোধও নাকচ করেন।
আরও পড়ুন: মন্টানার প্রথম ট্রান্সজেন্ডার আইনপ্রণেতা হাউযে অবাঞ্ছিত
যেফিরকে অবাঞ্ছিত করার ঘটনাকে চরম অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছেন মন্টানার সেনেটর সেন জন টেস্টার।
তিনি শুক্রবার একটি টুইটে লেখেন, ‘আমি বছরের পর বছর মন্টানার আইনপ্রণেতা হিসেবে কাজ করেছি, মন্টানার ভালোর জন্য সবার সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করেছি। আসুন একটি বিষয়ে পরিষ্কার হই: যথাযথভাবে নির্বাচিত একজন প্রতিনিধিকে নিষিদ্ধ করা একটি চরম, অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ, যা হাজারো মন্টানাবাসীর ক্ষতি করবে। সরকারের কাছে তাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছানোর আর কোনো উপায় থাকবে না।’