‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শীর্ষক বাজেট বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ গড়ে তোলার প্রত্যাশা জানান।
এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পাঁচ হাজার বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৩০০ বিলিয়ন টাকা। ঘাটতি ২ হাজার ৫০০ বিলিয়ন টাকার বেশি।
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আর মূল্যস্ফীতির বার্ষিক হারের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে বার্ষিক আয়ের প্রথম তিন শ হাজার টাকা পর্যন্ত কর দিতে হয় না। নতুন অর্থবছরে এটি বাড়িয়ে ৩৫০ হাজার টাকা করার প্র্রস্তাব করা হয়েছে।
এর পরের এক শ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ হারে, পরবর্তী তিন শ হাজারের ওপর ১০ শতাংশ হারে, তার পরের চার শ হাজারের ওপর ১৫ শতাংশ হারে, পরবর্তী পাঁচ শ হাজারের ওপর ২০ শতাংশ হারে এবং এর ওপরে আয়ের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে নারী ও ৬৫ বছরের ওপরের করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা রাখা হয়েছে চার শ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা ৪৭৫ হাজার টাকা। ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য ৪৭৫ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫০০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
তবে নতুন বাজেটে করের আওতা বাড়াতে টিআইএনধারী সবাইর জন্য ন্যূনতম কর দেয়া বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকা কোনো ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমার মধ্যে থাকলেও তাকে ন্যূনতম ২০০০ টাকা কর দিতে হবে।
কোম্পানি, ব্যক্তিসংঘ, ট্রাস্ট বা ফান্ডের ক্ষেত্রে কর হার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী।
নতুন অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে জল, স্থল ও আকাশ পথে ভ্রমণ কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আকাশপথে সার্কভুক্ত কোনো দেশে ভ্রমণ করলে দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। আকাশপথে নর্থ অ্যামেরিকা, সাউথ অ্যামেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজি ল্যান্ড, চায়না, জাপান, হংকং, নর্থ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস ক্যাম্বোডিয়া, তাইওয়ানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই করের পরিমাণ হবে ৬ হাজার টাকা। এর বাইরে অন্য দেশে আকাশপথে ভ্রমণের কর চার হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
আকাশপথে দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণে কর দিতে হবে ২০০ টাকা। আর স্থল ও জলপথে যেকোনো দেশে ভ্রমণের উপর এক হাজার টাকা কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদে আগামী ২৫ জুন অর্থবিল ও ২৬ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাস করা হবে।