৩২ বছর বয়সী নিহত সাংবাদিকের নাম আরমান সোল্ডিন। তিনি এএফপির ভিডিও কোঅর্ডিনেটর ছিলেন। রাশিয়ান সৈন্যদের ছোড়া একটি গ্র্যাড মিসাইল সোমবার কাছাকাছি বিস্ফোরিত হলে তিনি মারা যান।
হামলার সময় সহকর্মীরা তার সঙ্গেই ছিলেন; তবে তারা অক্ষত আছেন।
এএফপির চেয়ার ফ্যাব্রিস ফ্রাইস বলেন, ‘আরমানের মৃত্যুতে পুরো সংস্থা শোকে স্তব্ধ। তার মৃত্যু জানান দেয় সাংবাদিকরা কী ভয়ঙ্কর ঝুঁকি নিয়ে ইউক্রেইনে সংঘাত কভার করেন!’
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেইনে যুদ্ধ কভার করতে গিয়ে অন্তত ১১ জন সাংবাদিক, ফিক্সার এবং মিডিয়া সংস্থার ড্রাইভার নিহত হয়েছেন।
সোল্ডিন সেপ্টেম্বর থেকে ইউক্রেইনে তার টিমের কভারেজের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
এজেন্সির গ্লোবাল নিউয ডিরেক্টর ফিল চেটউইন্ড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আরমানের কাজগুলো ইউক্রেইনে এএফপি-এর সাংবাদিকতাকে গর্বিত করেছে।’
এএফপির ইউরোপ ডিরেক্টর ক্রিস্টিন বুহাগিয়ার সোল্ডিনকে উৎসাহী, উদ্যমী এবং সাহসী হিসেবে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘একজন সত্যিকারের অন-দ্য-গ্রাউন্ড রিপোর্টার ছিলেন সোল্ডিন। সবচেয়ে কঠিন জায়গায়তেও কাজ করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতেন। নিজের নৈপুণ্যের প্রতি তিনি ছিলেন নিবেদিত।’