মিসিসিপিতে শক্তিশালী টর্নেডোর তাণ্ডবে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
এবিসি নিউজে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত চারজন নিখোঁজ আছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে ঘণ্টায় ১১৩ কিলোমিটার বেগে টর্নেডোটি আঘাত হানে। সেই সঙ্গে হয় শিলাবৃষ্টিও। শার্কি ও হামফ্রিইস কাউন্টিতে তাণ্ডব শেষে এটি অ্যালাবামার দিকে এগিয়ে যায়।
ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া লোকজনের উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে মিসিসিপির ইমার্জেন্সি এজেন্সি। স্টেইটের অন্য কাউন্টিগুলোতেও টর্নেডোর সতর্কবার্তা জারি করেছে সংস্থাটি।
ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি ঘরের নিচে অনেক মানুষ আটকে পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন।
শার্কি কাউন্টির রোলিং ফোর্ক শহরের বাসিন্দা ব্র্যান্ডি শোয়াহ সিএনএনকে বলেন, ‘আমি এরকম কিছু আগে কখনও দেখিনি… আমাদের এই শহরটি ছোট্ট হলেও দারুণ ছিল, এখন কিছুই নেই।’
ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিসিসিপি গভর্নর টেট রিভস। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা চিকিৎসা সহায়তা চালু করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সুবিধগুলো বাড়াচ্ছি। উদ্ধারকাজও চলছে।’
পরদিন সকালে আরেক টুইটবার্তা গভর্নর জানান, টর্নেডোয় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শার্কি কাউন্টি পরিদর্শনে যাচ্ছেন তিনি।
বিবিসি ওয়েদারের তথ্য বলছে, রোববার টেক্সাসের র্পূবদিক ও মধ্য লুইযিয়ানা থেকে দক্ষিণ ও মধ্য মিসিসিপি, অ্যালাবামা এবং জর্জিয়ার দিকে প্রবল ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেখানে শিলাবৃষ্টি ও টর্নেডোর আশঙ্কা আছে।