সেই হিসেবে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও উত্তর অ্যামেরিকায় আগামী ২৮ জুন বুধবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা।
জিলহজ মাসের চাঁদ রোববার সন্ধ্যায় দেখা যাওয়ায় সোমবার থেকে জিলহজ মাসের গণনা শুরু হবে।
এ হিসাবে আগামী ২৬ জুন শুরু হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় মিনায় মুসল্লিদের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে। হাজিরা ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবা শরিফ তাওয়াফ শেষে এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের মিনায় যাত্রা করেন।
এ সময় গুঞ্জরিত হয় তালবিয়া ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারিকা লাক।’
মিনায় পৌঁছে হাজিরা ফজর থেকে শুরু করে এশা অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন নিজ নিজ তাঁবুতে। মিনায় রাতে অবস্থান শেষে হাজীরা আরাফাত ময়দানে সমবেত হন। সেখানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হয়।
এ ময়দানেই মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
আরাফাতের দিনের ফজিলত ও তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিনকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন, আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত এবং গুনাহ থেকে পরিত্রাণের দিন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।