ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের বরাত দিয়ে এবিসি নিউজ জানায়, দেশের দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলের ২৮ মিলিয়নের বেশি মানুষ টর্নেডোর মুখে পড়েছেন। আরকানসা, মিসিসিপি, আইওয়া, টেনেসি, ইলিনয় এবং উইসকনসিন স্টেইটে সব মিলিয়ে কয়েক ডজন টর্নেডোর খবর পাওয়া গেছে। তবে নিশ্চিত সংখ্যা এখনও যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কর্মকর্তারা জানান, টর্নেডোর আঘাতে নিহত ১১ জনের মধ্যে পাঁচজন আরকানসার, তিনজন ইন্ডিয়ানার, একজন ইলিনয়ের, একজন অ্যালাবামার এবং একজন মিসিসিপি স্টেইটের বসিন্দা।
আরকানসার পুলাস্কি কাউন্টির ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মুখপাত্র ম্যাডেলিন রবার্টস জানান, তার কাউন্টিতে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। নর্থ লিটল রক শহরেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রবার্টস জানান, কাউন্টিজুড়ে ৫০ জনেরও বেশি আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংখ্যাটি বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব আরকানসার উইন শহরে প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। পাশের সেইন্ট ফ্রান্সিস কাউন্টির করোনার মাইলস কিম্বল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইন্ডিয়ানাতে তিন এবং ইলিনয় স্টেইটে এক জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে এবিসি নিউজ।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আরকানসার গভর্নর স্যারাহ হাকাবি স্যান্ডের্স স্টেইটে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও ন্যাশনাল গার্ডকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছেন ঝড়ে ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে।
এক টুইটে স্যান্ডের্স বলেন, ‘ঝড় না থামা পর্যন্ত আরকানসাবাসীকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।‘