ইটালির রাজধানীতে শনিবার বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে এক টুইটের যেলেনস্কি লেখেন, ’আজ আমি রোমে। প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাটারেলা, প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে বৈঠক করব।ইউক্রেনকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ এক সফর।’
প্রেসিডেন্ট যেলেনস্কির সফরকে ঘিরে রোমে ছিল কঠোর নিরাপত্তা। এক হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়, নগরীর আকাশে বন্ধ রাখা হয় সব ধরনের বিমান চলাচল।
যেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট মাটারেলার সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী মেলোনির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন।
ইটালির প্রধানমন্ত্রী এ সময় জোর দিয়ে বলেন, ’এই যুদ্ধ তখনই শেষ হবে যখন রাশিয়া নিষ্ঠুর ও অন্যায় আগ্রাসন বন্ধ করে ইউক্রেইনের ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।’
যত দিন ইউক্রেইনের সাহায্য প্রয়োজন ইটালি তত দিন পাশে থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট যেলেনস্কি পরে সংবাদ সম্মেলনে ইটালির শীর্ষ নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের ইউক্রেইন সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, কিয়েভ সফরে গেলে পুতিনের পক্ষে কী কী করা সম্ভব এবং ইউক্রেইন কেনই-বা তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে সেসব বিষয়ে ইটালিয়ানরা জানতে পারবেন।
এরপর ভ্যাটিকানে পোপের সঙ্গে বৈঠক করেন যেলেনস্কি।
পোপ ফ্রান্সিস এই বৈঠকের পর শান্তি প্রার্থনা করেন।
ভ্যাটিকানের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পোপ ফ্রান্সিস এবং প্রেসিডেন্ট যেলেনস্কি প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক করেন। এ সময় তারা চলমান যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে সৃষ্ট মানবিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত ভ্যাটিকান।
ইটালি ও ভ্যাটিকান সফর শেষে জার্মানির উদ্দেশে যাত্রা করেন যেলেনস্কি।