পেসকভ জানিয়েছেন, ২৯ জুন পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রিগোযিন। তিন ঘণ্টার ওই আলোচনায় ভাগনারের সামরিক কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কমান্ডাররাও উপস্থিত ছিলেন। ভাগনার কমান্ডার ও প্রধান প্রিগোযিনসহ ৩৫ ভাগনার নেতা বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের শুরু থেকেই রাশিয়ান সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যুদ্ধ করেছে ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনী ভাগনার। তবে রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভাগনার প্রধান প্রিগোযিনের দীর্ঘদিনের বিরোধ ২৪ জুন সশস্ত্র বিদ্রোহে রূপ নেয়।
প্রিগোযিন ও তার দলের বিদ্রোহ চলার সময়েই তাকে বেলারুশে নির্বাসিত করার চুক্তি করেন পুতিন সরকার। তাকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবেও উল্লেখ করেছিলেন পুতিন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভাগনার বাহিনীর বিদ্রোহ রাশিয়ায় পুতিনের ক্ষমতাকে দুর্বল করেছে। তবে পুতিনের সঙ্গে প্রিগোযিন মুখোমুখি বৈঠকের খবর নিশ্চিত করার ফলে দেশটির অস্থির পরিস্থিতিতে স্বস্তি ফিরেছে।
পেসকভ জানান, ভাগনার বাহিনীর সঙ্গে ২৯ জুনের বৈঠকে পুতিন ইউক্রেইন যুদ্ধে বাহিনীটির ক্রিয়াকলাপ ও পুতিন সরকারের বিরুদ্ধে তাদের ২৪ জুনের বিদ্রোহের একটি ‘মূল্যায়নের’ প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভাগনার বাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলেছেন। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সম্পর্কে তাদের ব্যাখ্যা শুনেছেন, তাদের আরও কর্মসংস্থান ও যুদ্ধে তাদের কোনোভাবে ব্যবহার করা যায় কিনা সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।’
পেসকভ বলেছেন, ‘ভাগনার কমান্ডাররা নিজেরাই বৈঠকে বিদ্রোহের কারণ ও কী ঘটেছিল তা বর্ণনা করেছেন। তারা দাবি করেছেন, ভাগনার গ্রুপ রাষ্ট্রপ্রধান ও কমান্ডার-ইন-চিফের কট্টর সমর্থক ও রাষ্ট্রের সৈনিক। তারা বলেছেন, রাশিয়ার পক্ষে যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।’
রাশিয়ার ডিফেন্স মিনিস্ট্রি সোমবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনার কথা জানায়। ভাগনার বাহিনী বিদ্রোহ চলাকালে ইউক্রেইনের সঙ্গে যুদ্ধে গেরাসিমভের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করেছিল।