দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য শেষে উদ্বেগ নিয়ে সাসেক্স ডিউক বলেন ‘অনেক হয়েছে।’
এদিকে প্রিন্সের সব অভিযোগ নাকচ করে এমজিএন বলেছে, তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা কোনো অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেনি।
আদালতকে হ্যারি বলেন, ২০১৮ সালে ফ্রান্সে ব্যারিস্টার ডেভিড শেরবোর্ন-এর সঙ্গে সম্ভাব্য আইনি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন তিনি। তবে চিরাচরিত পথে না গিয়ে ব্যাপারগুলোকে কিছুটা ভিন্নভাবে সমাধান করতে চেয়েছিলেন।
প্রিন্স অবশ্য এর আগে বলেছিলেন, বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ে সংবাদপত্রের কোনো বিশেষ খবরে তার উদ্বেগ নেই।
আদালতে জেরায় মিরর, সানডে মিরর এবং দ্য পিপল-এর প্রকাশকের আইনজীবী অ্যান্ড্রু গ্রিন কেসি দাবি করেন, ফোন হ্যাকিং থেকে একটি ঘটনাও প্রকাশ করা হয়নি।
এর জবাবে হ্যারি বলেন, এ ব্যাপারে অনেক শক্ত প্রমাণ রয়েছে। বার্নার ফোন ব্যবহার করে তারা কাজগুলো করেছে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো রেকর্ড না থাকে।
হ্যারি জানান, শৈশব থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত ১৯৯৬ থেকে ২০১০-এর মধ্যে প্রকাশিত প্রায় ১৪০টি নিবন্ধ প্রকাশে বেআইনিভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি ঘটনাই তাকে নিয়ে; যার বেশিরভাগ জুড়ে ছিলেন এক্স-গার্লফ্রেন্ড চেলসি ডেভি।
সানডে পিপল-এর ২০০৬ সালের একটি নিবন্ধে বলা হয়, হ্যারির সঙ্গে ফোনে আধ ঘণ্টা ধরে চিৎকার করছিলেন ডেভি। পরে বার্কশায়ারের একটি ড্যান্সিং ক্লাবে ডেভির উপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন হ্যারি।
এসব তথ্য কোথা থেকে এসেছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিন্স বলেন, ডেভির ফোন নম্বর মিরর সাংবাদিকরা কোনোভাবে সংগ্রহ করেছিলেন। কল ডেটায় মিসড কল দেখে তারা এতে মনমতো গল্প বসিয়ে দিয়েছে।
একবার ডেভির গাড়িতে একটি ট্র্যাকিং ডিভাইস খুঁজে পাওয়ার বিষয়টিও আদালতকে জানান প্রিন্স হ্যারি।
২০০৭ সালে প্রকাশিত দ্য পিপল-এর আরেকটি নিবন্ধের ব্যাপারে হ্যারি বলেন, প্যালেস সূত্রের বরাতে ‘পিপল’ ডেভি ও তার সম্পর্কের সংকট নিয়ে খবর প্রকাশ করে। অথচ প্যালেসে তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে কখনোই আলোচনা হয়নি।
বন্ধু মার্ক ডায়ার এবং প্রয়াত টিভি উপস্থাপক ক্যারোলিন ফ্ল্যাকের সাক্ষাতের ছবির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে হ্যারি বলেন, তিনি সন্দেহ করেছিলেন যে তার বন্ধুই এ ব্যাপারে বিস্তারিত ফাঁস করেছে। এজন্য তিনি ও তার ভাই উইলিয়াম কিছু সময়ের জন্য ডায়ারের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এখন বিশ্বাস করি যে তথ্যগুলো আমাদের ভয়েসমেইল থেকে এসেছে... এমনকি যাদের আমি সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করতাম, তাদেরকেও সন্দেহ করেছি।’
আদালত যদি এমন সিদ্ধান্ত দেয় যে এমজিএনের কোনো সাংবাদিক হ্যারির ফোন হ্যাক করেননি তাহলে প্রতিক্রিয়া কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে হ্যারি বলেন, তার ফোন ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কেলে’ হ্যাক করা হয়েছে। এর বিচার না হলে তার উপর অবিচার করা হবে।