স্টেইট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্লিনকেন ও সালমানের মধ্যে আলাপচারিতায় মধ্যপ্রাচ্য ও এর বাইরের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়। এছাড়া ইয়েমেনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে একটি রাজনৈতিক চুক্তির ব্যাপারেও আলোচনা হয়।
মানবাধিকারে অগ্রগতির মাধ্যমে দ্বিপক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার উপর জোর দিয়েছেন ব্লিনকেন।
এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের এই বৈঠকে ব্লিংকেন ও সালমান দুদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তারা ক্লিন এনার্যি ও প্রযুক্তিখাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন।
সুদান থেকে অ্যামেরিকার শ শ নাগরিককে সরিয়ে নিতে এবং সেখানে যুদ্ধ বন্ধ করতে সৌদি আরবের কূটনৈতিক ভূমিকার প্রশংসা করেন সেক্রেটারি ব্লিনকেন।
এক ইউএস কর্মকর্তা বলেছেন, ইযরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা নিয়েও দুজনের মধ্যে আলাপ হয়েছে। এই আলোচনা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন তারা।
স্টেইট ডিপার্টমেন্ট এর আগে জানিয়েছে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে ইউএস-সৌদির মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত দ্বিপক্ষিক নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন ব্লিনকেন। তিনি ইউএস-গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল ও গ্লোবাল কোয়ালিশন টু ডিফিট আইএসআইএস-এর সম্মেলনেও অংশ নেবেন।
সৌদি আরবে মঙ্গলবার বিকালে পৌঁছান ব্লিনকেন। পরবর্তী বৈঠকের জন্য বুধবার রিয়াদে যাবেন তিনি।