মেয়েটির পরিবারের পক্ষে শনিবার একথা জানিয়েছেন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (এসিএলইউ) উইমেনস রাইটস প্রজেক্টের স্টাফ অ্যাটর্নি লিন্ডা মরিস।
তিনি জানান, মিসিসিপির গাল্ফপোর্টের ডিস্ট্রিক্টি জাজ টেলর ম্যাকনিল শুক্রবার স্কুল কর্তৃপক্ষের আদেশের পক্ষে রায় দিয়েছেন, যা হতাশাজনক ও অযৌক্তিক।
এসিএলইউ জানিয়েছে, ১৭ বছর বয়সী মেয়েটির নাম আদালতের কাগজপত্রে এল.বি. আদ্যক্ষরে লেখা। তিনি গাল্ফপোর্টের হ্যারিসন সেন্ট্রাল হাইস্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। সেখানে শনিবার হয়ে গেছে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই শিক্ষার্থী ‘ডিপ্লোমা পাওয়ার যোগ্যতা পূরণ করেছে’, তবে তাকে অবশ্যই ছেলেদের জন্য নির্ধারিত পোশাক পরে আসতে হবে। অনুষ্ঠানের জন্য ছেলেদের পরতে পোশাক হয়েছে সাদা শার্ট ও কালো ট্রাউজার। আর মেয়েদের জন্য নির্ধারিত ছিল সাদা রঙয়ের জামা।
স্কুলের ওই নির্দেশনা আসে গত বৃহস্পতিবার এরপর মেয়েটির পরিবার প্রিন্সিপাল কেলি ফুলার ও স্কুল ডিস্ট্রিক্ট সুপারিনটেনডেন্ট মিচেল কিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলায় বলা হয়, স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগেও বহুবার এল.বি. নিজের পছন্দের পোশাক পরেছেন। গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এসে তার সঙ্গে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিত না।
স্কুল ডিস্ট্রিক্টের পক্ষের আইনজীবী আদালতের নথিতে লিখেছেন, গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ঐচ্ছিক বিষয়। এটা কোনো শিক্ষার্থীর সাংবিধানিক অধিকার না।
এরপর শুক্রবার ডিস্ট্রিক্টি জাজ টেলর ম্যাকনিল মামলার রায় দেন। তিনি জানান, ছেলেদের পোশাক পরতে রাজি না হলে ওই ট্রান্স কিশোরীকে গ্র্যাজুয়েশনে যোগ দিতে নিষেধ করতে পারবে হ্যারিসন কাউন্টি স্কুল ডিস্ট্রিক্ট।
মরিস বলেন, ‘আমাদের ক্লায়েন্টকে স্পষ্টতই বৈষম্যমূলক কারণে লজ্জিত করা হচ্ছে, অপমান করা হচ্ছে। মেয়েটির জীবনের অন্যতম মাইলফলক এই গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান। তাকে ও তার পরিবারকে এই অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে… লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে কাউকে গ্র্যাজুয়েশনে না আসতে বাধ্য করা তো উচিত নয়।’