পাকিস্তানকে গত এপ্রিলেই অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সৌদি। তবে আইএমএফ বেলআউটে অর্থ সহায়তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান স্টেইট ব্যাংক কোনো ধরনের অর্থ সহায়তা জমা করা বন্ধ রাখে।
ফলে দেশটির রিজার্ভ এক মাসের পণ্য আমদানির জন্যও যথেষ্ট ছিল না। তবে খুব বেশি দিন ভুগতে হয়নি পাকিস্তানকে। আইএমএফ বেলআউটের নিশ্চয়তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানের সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঋণ সহায়তার অর্থ জমা করেছে সৌদি আরব। এতে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে।
এক ভিডিও বার্তায় ইশাক দার বলেন, ‘সৌদি আরব পাকিস্তানের শুভাকাঙ্ক্ষী ও দীর্ঘদিনের মিত্র। আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের পক্ষ থেকে সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানাই। সৌদির এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ মঙ্গলবার এক টুইটে বলেছেন, ‘সৌদি আরব কিংডমের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ ও নেতৃত্বের প্রতি পাকিস্তানের গভীর কৃতজ্ঞতা।’
তিনি এক পোস্টে বলেন, ‘এই সহায়তা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান আস্থা প্রতিফলিত করে।’
রিজার্ভ সংকট নিয়ে হিমশিম খাওয়া পাকিস্তান জুনের শেষ দিনে ৩ বিলিয়ন ডলার আইএমএফ ঋণ সহায়তার বেইলআউট অর্জন করে। অবশ্য ঋণের অর্থ সংগ্রহের জন্য এখনও আইএমএফ বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন।
আশা করা হচ্ছে আগামী বুধবার আইএমএফ বৈঠকে ঋণ সহায়তার অনুমোদন পাবে পাকিস্তান।