এর মাধ্যমে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয় পায় যুবারা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টি আইনে ১০ রানে ও তৃতীয়টি ৪ উইকেটে জিতেছিল সাউথ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ওয়ানডে ১৪ রানে ও চতুর্থটিতে ৪ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেটি সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে রুপ নেয়।
জিতলেই সিরিজ জয়, এমন সমীকরণ সামনে রেখে রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নামা সাউথ আফ্রিকার দুই ওপেনারকে ১৮ রানের মধ্যে শিকার করে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন পেসার রিজান হোসেন।
শুরুর ধাক্কা সামলে ৩ উইকেটে ১০১ রান তুলে লড়াইয়ে ফেরে সাউথ আফ্রিকা। কিন্তু পরবর্তীতে বাংলাদেশের বোলারদের তোপে ৪৯ দশমিক ৪ ওভারে ২১০ রানে অল আউট হয় সফরকারীরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন তিন নম্বর পজিশনে নামা ডেভিড টিগার।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ৩টি, রিজান-রোহানাত দৌলা বর্ষন-রাফি উজ্জামান রাফি ২টি করে এবং আরিফুল ইসলাম ১টি উইকেট নেন।
জবাবে টিমকে ৪০ রানের সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক ও রিজওয়ান। ৪৮ রানে ২ উইকেট পতনের পর টিমের হাল ধরেন আদিল ও আরিফুল। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ রান যোগ করেন তারা। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৮ রানে আউট হন আদিল। মিডল অর্ডার ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও, হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৬৮ রানে আউট হন আরিফুল। দলীয় ১৮৯ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি।
অষ্টম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২২ রান যোগ করে ১৭ বল বাকী থাকতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক রাব্বি ও রাফি। রাব্বি ১৫ ও রাফি ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা হন আরিফুল; অন্যদিকে সিরিজ সেরা হন রাফি।