এরদোয়াঁর জয়ের পর লিরার দরপতন, ঊর্ধ্বমুখী শেয়ার বাজার

টিবিএন ডেস্ক

মে ২৯ ২০২৩, ২০:৩৬

তুর্কিয়ের মুদ্রা লিরার রেকর্ড দরপতন হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

তুর্কিয়ের মুদ্রা লিরার রেকর্ড দরপতন হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

তুর্কিয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়াঁ পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর দেশটির মুদ্রা ‘লিরার’ রেকর্ড দরপতন হয়েছে। নির্বাচনের পরদিন সোমবার ডলারের বিপরীতে লিরার দর কমে হয়েছে ২০.০১।

চলতি বছরের শুরু থেকে লিরার দরপতন হয়েছে ৭ শতাংশেরও বেশি। গত এক দশকে এটি ৯০ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে। তবে দেশটির স্টকমার্কেট বিআইএসটি-১০০ সূচকে ৪.৩৬ শতাংশ ও ব্যাংকিং সূচকে ৩.০৯ শতাংশ বেড়েছে।

নির্বাচনি প্রচারের সময় এরদোয়াঁ বলেছিলেন, দেশের মূল্যস্ফীতিকে তিনি একক সংখ্যায় নামিয়ে আনবেন ও অথনৈতিক প্রবৃদ্ধির উন্নয়ন করবেন। এ কথার পুনরাবৃত্তি তিনি করেছেন রোববারের বিজয়ী ভাষণে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এরদোয়াঁর অপ্রচলিত অর্থনৈতিক নীতি তার নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটাচ্ছে। এ নীতির কারণে তুর্কিয়ের ৮০০ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতি হুমকিতে পড়েছে।

এরদোয়াঁর কথায় সুদের হার কমে যাওয়ায় ২০২১ সালের শেষের দিকে লিরার মানও কমে যায়। এতে গত বছর মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায় ৮৫.৫ শতাংশ, যা গত ২৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সুদের হার কমানোর পক্ষে প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, সুদের হার বাড়লে মূল্যস্ফীতি ঘটে। অথচ বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সেসময় মূল্যবৃদ্ধি কমাতে সুদের হার বাড়াচ্ছিল।

দেশটিতে ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়াঁ নিজের অর্থনৈতিক নীতির সাফাই গেয়ে জনগণকে ফের আশ্বস্ত করে বলেছেন, বিনিয়োগ, উৎপাদন, রপ্তানি ও বৈদেশিক সঞ্চয়ন বৃদ্ধি দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ঘটাবে।

নির্বাচনে তুর্কিয়ের ভোটারদের উদ্বেগের মূলে ছিল দেশটির বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি। গত ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্প বিপর্যয়ের আগেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মুদ্রা সংকটে ছিল দেশটির জনগণ। গত অক্টোবরে তুর্কিয়ের মুদ্রাস্ফীতি ৮৫ শতাংশে পৌঁছায়।

এ ঘটনা জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এবং এ কারণে মূলত এরদোয়াঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। তবে দ্বিতীয় দফার ভোটে ফের তার হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা যাওয়া ও পরদিনই লিরার দরপতন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন