দক্ষিণ ইউক্রেইনের খেরসন শহরের কাছেই মস্কোর নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি বিশাল বাঁধের দেয়াল মঙ্গলবার ধসে পড়ে। এতে ইউক্রেইনের নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাঁধের কাছাকাছি রাশিয়ার বেশ কিছু শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেইন কর্মকর্তারা বাঁধের আশেপাশের বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাঁধ ধসের দায় রাশিয়ার উপর চাপিয়ে দিয়ে ইউক্রেন পরিবেশগত ক্ষতির ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে।
বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র উড়িয়ে দেয়ার জন্য রাশিয়ান বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে ইউক্রেইন। তবে, রাশিয়ান কর্মকর্তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় বাঁধটি ধসের জন্য ইউক্রেইনের হামলাকে দায়ী করেছে।
উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁধটি ধসে যাওয়ায় দুই দেশই সুদূরপ্রসারী ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। বন্যায় বাড়িঘর, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দার শঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া রাশিয়ার দখলে থাকা ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে শীতল করতে ব্যবহৃত উঁচু অঞ্চলের পানির স্তরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি ক্রিমিয়ার দক্ষিণে পানীয় জলের সরবারহও বিঘ্নিত হতে পারে।
বাঁধ ভাঙায় কোন দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির যেলেনস্কি বলেছেন, বাঁধ ভাঙার খবরে তিনি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
যেলেনস্কির অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে ৩টা নাগাদ বাঁধের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। এতে প্রায় ৮০টি জনপদ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
ইউক্রেইনের পারমাণবিক অপারেটর এনারগটম এক টেলিগ্রাম বার্তায় জানিয়েছে, বাঁধের ক্ষতি ইউক্রেইনের যাপোরিজাহ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ‘নেতিবাচক পরিণতি’ আনতে পারে। তবে বর্তমানে কেন্দ্রের পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে বলে জানান তিনি।